Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

শিলিগুড়িতে চুরি রুখতে চালু হলো 'থেফট অ্যালার্ম সিস্টেম'

শিলিগুড়িতে চুরি রুখতে চালু হলো 'থেফট অ্যালার্ম সিস্টেম'




শিলিগুড়ি, ৪ অক্টোবর, ২০২৪: আসন্ন দুর্গাপূজার আগে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ শহরের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও এটিএমগুলিতে চুরি ও ডাকাতি রুখতে এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে চালু করা হয়েছে 'থেফট অ্যালার্ম সিস্টেম'। এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থা শহরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আজ এই নতুন ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার রবিন থাপা, শিলিগুড়ি থানার আইসি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির ওসি সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।

গত কয়েক দিন ধরে শিলিগুড়ি শহরজুড়ে অপরাধের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। সোনার দোকানে ডাকাতি, এটিএম লুট এবং ছিনতাইয়ের মতো ঘটনায় শহরের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছিল। সেইসব প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে অপরাধ দমনে পুলিশ এই নতুন প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা চালু করল।


কীভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম?

এই সিস্টেমটি প্রাথমিকভাবে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা যেমন হিলকার্ট রোড, বিধান মার্কেট এবং সেবক রোডের বড় দোকান ও এটিএমগুলিতে স্থাপন করা হবে। মালদার একটি বেসরকারি সংস্থা এই প্রযুক্তি বসানোর কাজটি করছে। পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার বসানো হয়েছে, যা ১০০টি অ্যালার্মের সাথে সংযুক্ত হতে পারবে।

কোনো দোকানে দুষ্কৃতী হামলা হলে সেখানে থাকা বিশেষ সুইচ টিপলে সরাসরি পুলিশ ফাঁড়িতে সাইরেন বেজে উঠবে। একই সঙ্গে, ফাঁড়িতে থাকা মনিটরে ওই দোকানের নাম, ঠিকানা, মালিকের নাম এবং মোবাইল নম্বরসহ সমস্ত তথ্য ভেসে উঠবে। এতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং জানান, বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে একটি সোনার দোকানে এই ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে এটি অল্প সময়ের মধ্যে অপরাধ দমনে কার্যকরী হবে। ব্যবসায়ীদের নিজ খরচে এই সিস্টেমটি বসাতে হবে। যদিও এর খরচ সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

তবে প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করছেন যে শুধুমাত্র এই অ্যালার্ম সিস্টেম দিয়ে অপরাধ পুরোপুরি দমন করা সম্ভব নয়। তাঁদের মতে, অপরাধ দমনে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং সোর্স নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code