স্বাস্থ্যসাথী কার্ড SIR নথি নয়, নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট বার্তা
জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR)-এর নথি হিসেবে গণ্য করা যাবে না। কমিশনের মতে, শুধুমাত্র নাগরিকত্বের প্রমাণ রয়েছে এমন নথিই এসআইআরের জন্য গ্রহণযোগ্য। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রাজ্যবাসীর জন্য হলেও, তা নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় বলে কমিশন স্পষ্ট করেছে।
বৈঠকে উঠল প্রস্তাব, খারিজ করল কমিশন
সম্প্রতি সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের সিইও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব তোলেন—স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে এসআইআরের নথি হিসেবে বিবেচনা করা যায় কি না। কমিশন সরাসরি জানিয়ে দেয়, এই কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, তাই তা গ্রহণযোগ্য নয়।
নথির তালিকা ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
এসআইআরের জন্য কমিশন ১১টি নির্ধারিত নথি গ্রহণ করে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আধার কার্ড দ্বাদশ নথি হিসেবে আপাতত শুধু বিহারের জন্য গ্রহণযোগ্য। তবে আদালত জানিয়েছে, আধার কখনওই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়—শুধু ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য।
পুজোর পরেই শুরু হতে পারে এসআইআর
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবর মাসে, অর্থাৎ পুজোর পরেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশজুড়ে শুরু হতে পারে এসআইআর প্রক্রিয়া। ২০০২ সালের পর এই প্রথম রাজ্যে আবার এসআইআর হতে চলেছে। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বিহারে বিতর্ক, বাংলায় সতর্কতা
বিহারে এসআইআর চলাকালীন প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়েছিল, যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এবার কমিশন আরও সতর্ক। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই এসআইআরের বিরোধিতা করেছেন।
এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট, নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্বের প্রশ্নে কোনও আপস করতে রাজি নয়। স্বাস্থ্যসাথী বা রেশন কার্ডের মতো রাজ্যভিত্তিক প্রকল্পের নথি জাতীয় ভোটার তালিকায় স্থান পাবে না—এটাই কমিশনের অবস্থান।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊