অর্থ কমিশনের টাকা ছাড়তে দেরি, ১ কোটি টাকার জরিমানা গুনল রাজ্য সরকার
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ আটকে দেওয়ার ঘটনায় কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, অর্থ কমিশনের বরাদ্দ পাওয়া মাত্র ১০ দিনের মধ্যে তা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত স্তরে পাঠানো বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম লঙ্ঘনের জেরে পশ্চিমবঙ্গকে প্রায় ₹১ কোটি জরিমানা দিতে হয়েছে।
জরিমানার কারণ ও বিতর্ক:
- কেন্দ্রের অভিযোগ: রাজ্য গতবার অর্থ কমিশনের টাকা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে পাঠাতে ৪–৬ দিন দেরি করেছে
- রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের বাইরে গেলে প্রতিদিনের জন্য পেনাল্টি ধার্য হয়
- রাজ্যের ব্যাখ্যা: ১০ দিনের মধ্যেই বরাদ্দ ছাড় করা হয়েছিল, তবে ট্রেজারি থেকে টাকা রিলিজে কিছুটা সময় লেগেছে
- কেন্দ্রীয় পোর্টালেই এই তথ্য দৃশ্যমান বলে দাবি রাজ্যের
জরিমানার পরিমাণ ও ব্যবহার:
- জরিমানার পরিমাণ: প্রায় ₹১ কোটি
- উৎস: রাজ্য কোষাগার
- বণ্টন: জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে
- উদ্দেশ্য: কেন্দ্র যাতে নতুন কোনও অজুহাতে বরাদ্দ আটকে না দেয়, সেই কারণে জরিমানা দ্রুত মেটানো হয়েছে
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এই ঘটনাকে ‘অতিসক্রিয়তা’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “অন্যান্য রাজ্যে এমন দেরি হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ বাংলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার অতিরিক্ত কড়াকড়ি করছে।”
রাজ্য আরও দাবি করেছে, ষষ্ঠ রাজ্য অর্থ কমিশনের রিপোর্ট বিধানসভায় জমা দেওয়ার পরই সমস্ত শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
চিঠি ও দাবি:
- রাজ্য কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে জরিমানা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে
- সেই চিঠিতে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ দ্রুত ছাড়ার দাবি জানানো হয়েছে
- ২০২৫–২৬ অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তির টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র
- কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে কিছু ক্ষেত্রে বরাদ্দ ৪–৬ দিন দেরিতে পৌঁছেছে
রাজ্যের এক আধিকারিক বলেন, “দিল্লির শর্ত অনুযায়ী প্রতিটি কাজ করা হয়েছে। এর পরেও যদি এই খাতের টাকা না দেওয়া হয়, তাহলে বুঝতে হবে, কারণটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক।”
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊