নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, ‘নকল জিহাদ’ মন্তব্যে বিতর্ক
উত্তরাখণ্ডে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। রবিবার অনুষ্ঠিত উত্তরাখণ্ড সাব-অর্ডিনেট সার্ভিস সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের তিনটি পৃষ্ঠা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে যুব সমাজ। দেরাদুনের প্যারেড গ্রাউন্ডে শত শত বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে ‘উত্তরাখণ্ড বেকার সংঘ’ সহ একাধিক যুব সংগঠন।
পুলিশ ইতিমধ্যে খালিদ মালিক ও তার বোন সাবিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ, খালিদ হারিদ্বারের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্নের ছবি তুলে সাবিয়াকে পাঠান, যিনি তা এক বন্ধুর মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেন। তদন্তে উঠে এসেছে, সাবিয়া সেই প্রশ্ন পাঠান সুমন নামে এক কলেজ অধ্যাপকের কাছে, যিনি প্রশ্নের সমাধান করলেও উত্তর পাঠাননি। বরং তিনি যুব নেতা ববি পানওয়ারকে বিষয়টি জানান।
এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মন্তব্য করেন, “যুব সমাজের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে কোচিং ও চিটিং মাফিয়ারা একত্রিত হয়ে ‘নকল জিহাদ’ চালাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এই মাফিয়াদের নির্মূল না করা পর্যন্ত আমরা থামব না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা সুর্যকান্ত ধাসামা অভিযোগ করেন, “সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য গঠনের উদ্দেশ্য ছিল বেকারত্ব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অভিবাসন সমস্যা সমাধান করা। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি।”
বর্তমানে রাজ্যে ২২ হাজারের বেশি চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়মিতকরণের অপেক্ষায় রয়েছেন। বন, পুলিশ, জনপথ ও সেচ বিভাগে বহু নিয়োগ পরীক্ষা দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা এবং মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাজ্যের রাজনৈতিক আবহে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊