Nepal News: নেপালে সোশাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা ঘিরে তরুণদের বিক্ষোভ, নিহত ১৪, জারি কারফিউ
সরকারের দাবি, নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্মগুলি নির্ধারিত সাতদিনের মধ্যে নিজেদের কার্যক্রম নথিভুক্ত করেনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে সরকারের সঙ্গে রেজিস্টার করতে হবে, যাতে ‘অবাঞ্ছিত’ কনটেন্টে নজরদারি চালানো যায়।
প্রতিবাদকারীদের দাবি, এই নিষেধাজ্ঞা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং সরকারের দুর্নীতিকে আড়াল করার চেষ্টা। সোমবার সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়ে একদল উত্তেজিত জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করে, জলকামান ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এরপর কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হয় এবং সেনা নামানো হয়।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে অন্তত ১৪ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে, আহত শতাধিক। আন্দোলনকারীদের মধ্যে সাংবাদিকরাও রয়েছেন।
নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্মগুলির তালিকায় রয়েছে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এক্স, লিঙ্কডইন, রেডিট, হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাট ইত্যাদি। তবে টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিমবুজ, টেলিগ্রাম ও গ্লোবাল ডায়রি নিষিদ্ধ হয়নি, কারণ তারা সরকারের শর্ত পূরণ করেছে।
এই আন্দোলনকে অনেকেই ‘Gen Z Revolution’ বলে অভিহিত করছেন, যা শুধু সোশাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নয়, বরং দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে তরুণ সমাজের প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊