Nepal Gen Z Protest: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পর এবার নেপাল ! সংসদে আগুন, সেনা নামিয়ে দমনচেষ্টা, ওলি সরকারের পতনের আশঙ্কা
সোমবার কাঠমান্ডুর রাস্তায় হাজার হাজার তরুণ-তরুণী বিক্ষোভে সামিল হন। সংসদ ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালান আন্দোলনকারীরা। ছাদ থেকে কারিডর—সবই বিদ্রোহীদের দখলে। দেখা নেই নিরাপত্তারক্ষীদের। সূত্রের খবর, বহু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি নষ্ট হয়েছে।
পুলিশ লাঠিচার্জ করে, জলকামান ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এরপর দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কারফিউ জারি হয়। সেনা নামানো হয়। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৪ জনের, আহত শতাধিক।
শ্রীলঙ্কার ২০২২ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশের ২০২৪ সালের ‘জুলাই বিপ্লব’-এর সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে এই আন্দোলনের। বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপালের পরিস্থিতিও দ্রুত রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছে।
নেপালের সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে সরকারের সঙ্গে রেজিস্টার করতে হবে, যাতে ‘অবাঞ্ছিত’ কনটেন্টে নজরদারি চালানো যায়।
নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্মের তালিকায় রয়েছে—
- ফেসবুক
- ইউটিউব
- ইনস্টাগ্রাম
- এক্স
- লিঙ্কডইন
- রেডিট
- হোয়াটসঅ্যাপ
- স্ন্যাপচ্যাট
তবে টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিমবুজ, টেলিগ্রাম ও গ্লোবাল ডায়রি নিষিদ্ধ হয়নি।
সংসদ ভবনে হামলার পর রাষ্ট্রপতির বাসভবন (শীতল নিবাস), উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন (লেইনচৌর), এবং প্রধানমন্ত্রী ওলির বাসভবন (বালুওয়াটার)-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভবনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এই আন্দোলনকে অনেকেই ‘Gen Z Revolution’ বলে অভিহিত করছেন। এটি শুধু সোশাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নয়, বরং দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে তরুণ সমাজের প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊