Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Nepal political crisis: নেপালের গণতন্ত্রের মোড় পরিবর্তন, ওলির বিদায়

গণবিক্ষোভের চাপে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি

Nepal political crisis, KP Sharma Oli resignation, Nepal protests, social media ban Nepal, Kathmandu violence, Nepal Prime Minister, Ashok Raj Sigdel, Ramchandra Paudel, Nepal student protests, Nepal government crisis, Trivubhan airport lockdown, India Nepal relations


কাঠমান্ডু, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশজোড়া গণবিক্ষোভ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সমাজমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল, তা থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ছাত্র-যুবদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আন্দোলন দ্রুত গণবিদ্রোহে রূপ নেয়, যার জেরে রাজধানী কাঠমান্ডু অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।

সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও পদত্যাগের প্রেক্ষাপট

সূত্রের খবর অনুযায়ী, নেপালের সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ওলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে পদত্যাগের অনুরোধ জানান। ওলি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেন এবং তার পরেই রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে পদত্যাগপত্র পাঠান। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন।

পদত্যাগপত্রে ওলি লেখেন, “নেপালের সংবিধান অনুযায়ী আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে আমি পদত্যাগ করছি।”

সহিংসতা ও নিরাপত্তা সংকট

বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরাও। একাধিক মন্ত্রীর বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনেও আগুন লাগানো হয়। সূত্রের খবর, তিনি দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, যদিও তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সমস্ত উড়ান বাতিল করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। বিমানবন্দরে মোতায়েন করা হয়েছে ৩০০-র বেশি সেনা।

আন্দোলনের সূত্রপাত ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

নেপাল সরকারের সমাজমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তই আন্দোলনের মূল সূত্রপাত। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত যুক্ত হয়ে ছাত্র-যুবদের প্রতিবাদে আগুন জ্বালায়। সোমবার পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

ওলি মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠকের ঘোষণা দিলেও তার আগেই পরিস্থিতির চাপে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। আন্দোলনকারীরা তাঁর পদত্যাগকে গণজয়ের প্রতীক হিসেবে দেখছেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

নেপালের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে নেপালে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code