নম্বর-সহ তালিকা প্রকাশিত হবে ওয়েবসাইটে, জানালেন ব্রাত্য, বাইরের রাজ্য থেকে কতজন বসেছে পরীক্ষায়?
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের (SSC) পরীক্ষা। ৬৩৬টি কেন্দ্রে প্রায় ৩১৯,৯১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এবারের পরীক্ষা প্রমাণ করেছে শিক্ষাক্ষেত্রে মনোযোগ ও উৎসাহ একই সাথে রয়েছে। পরীক্ষায় শুধু রাজ্যের নয়, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকেও বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী এসে অংশ নিয়েছেন।
পরীক্ষার পর স্কুল শিক্ষা কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসন-সহ সংশ্লিষ্ট সব অফিসিয়ারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, “আদর্শভাবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা শেষ হয়েছে” এবং আগামী একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাও যেন একইভাবে সুষ্ঠু ও নির্ভুলভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে তিনি উৎসাহী করেছেন।
অনেক পরীক্ষার্থী বলছেন, তাঁদের বাড়িতে সুযোগ কম থাকলেও শিক্ষক নিয়োগ-পরীক্ষার জন্য রাজ্যে আসা তাদের আশা ও স্বপ্নকে সবচেয়ে বড় দৃঢ়তা দিয়েছে। কেউ বলছেন, “আমি অনেক দিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম; এই পরীক্ষাটি জীবনে একটা নতুন অধ্যায় খুলে দিল।” পরীক্ষার্থীদের মানসিক প্রস্তুতি ও প্রশাসনের সহযোগিতার প্রশংসাও করেছেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন, ৯৩ শতাংশ আবেদনকারীই পরীক্ষায় বসেছেন। নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় ৩১ হাজার পরীক্ষার্থী এসেছিলেন বাইরের রাজ্য থেকে। আজ, রবিবার একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষায় ভিন্ রাজ্যের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার।
তিনি বলেন, "সমস্ত শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক, মুখ্যসচিব, পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানাই। দু'বছর ধরে চলা নানা ঘটনা, আবর্তের মধ্যে এই পরীক্ষা নেওয়া দুরূহ এবং শ্রমসাধ্য ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নিরন্তর সহযোগিতার ফলে, স্কুল সার্ভিস কমিশন যেভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে, মেধাকে গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষা নিয়েছে, তার জন্য কোনও প্রশংসার ভাষাই যথেষ্ট নয়।"
স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্রাত্য বলেন, "SSC-কে আলাদা করে ধন্যবাদ। দফতর থেকে নির্দেশ দিয়েছিলাম, পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং ত্রুটিমুক্ত হয়। নিয়োগবিধিতেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ১) এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের SSC OMR ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা পরিচালনা করেছে এবং উত্তরপত্রের প্রতিলিপি পরীক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে। ২) লিখিত পরীক্ষার পর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রশ্নপত্রের মডেল উত্তরপত্র দিয়ে দেওয়া হবে। আবেদনকারীদের কাছ থেকে পরামর্শ অথবা আপত্তি আহ্বান করা হবে। ৩) পাঁচ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলে আবারও ওয়েবসাইটে পার্সোনালিটি টেস্ট বা ইন্টারভিউয়ের জন্য সমস্ত প্রার্থীর বিস্তারিত তথ্য ও প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে নম্বর-সহ।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊