Two Husbands, One Wife: সুনীতার সময় ভাগাভাগি নিয়ে কী বলছেন ভাইয়েরা?
হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের দুই ভাই—প্রদীপ নেগি ও কপিল নেগি—একই নারী সুনীতা চৌহানকে বিয়ে করে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। হাট্টি সম্প্রদায়ের বহু পুরনো ‘যোডিদার প্রথা’ অনুসারে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে একজন নারী একাধিক ভাইয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই প্রথার মূল উদ্দেশ্য জমির ভাগাভাগি রোধ করা, যাতে পারিবারিক ঐক্য অটুট থাকে।
তবে এই বিয়ের পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে একটি প্রশ্ন—স্ত্রী কাকে বেশি সময় দিচ্ছেন? সামাজিক মাধ্যমে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেলেও, তিনজনের কেউই এই বিষয়ে কোনও প্রতিযোগিতা বা তুলনার জায়গা রাখেননি। প্রদীপ নেগি স্পষ্টভাবে জানান, “আমরা তিনজন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কে কাকে বেশি সময় দিচ্ছে, সেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঐক্য ও ভালোবাসা।” কপিল নেগিও বলেন, “আমরা ভাই, এবং আমরা চাই আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকুক। সুনীতাও আমাদের দুজনের সঙ্গে সমানভাবে সম্পর্ক বজায় রাখছে।”
সুনীতা চৌহান নিজেও জানিয়েছেন, এই বিয়ে ছিল তাঁর স্বেচ্ছায় নেওয়া সিদ্ধান্ত। তিনি প্রথা সম্পর্কে জেনে, বুঝে, এবং সম্মত হয়েই এই বিবাহে অংশ নিয়েছেন। কপিল বর্তমানে বিদেশে কর্মরত, আর প্রদীপ স্থানীয়ভাবে কাজ করেন। ফলে সময়ের ভাগাভাগি হয় বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী, কোনও প্রতিযোগিতা বা ঈর্ষা ছাড়াই।
তিনজনের এই বিবাহিত জীবন সামাজিক মাধ্যমে যেমন সমালোচনার মুখে পড়েছে, তেমনি অনেকেই তাঁদের সাহস ও ঐতিহ্য রক্ষার মানসিকতাকে সম্মান জানিয়েছেন। দুই ভাইয়ের মুখে এক কথা—“আমাদের জীবনযাত্রাকে বিচার করবেন না। আমরা সুখে আছি, আর একসঙ্গে থাকতে চাই।”
এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সম্পর্কের সংজ্ঞা একেক সমাজে একেক রকম। যেখানে সময়ের হিসাব নয়, ভালোবাসা, সম্মান ও ঐতিহ্য রক্ষা—এই তিনটি বিষয়ই সংসারের মূল ভিত্তি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊