ডোনাল্ড ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০২৬-এর মনোনয়ন নিয়ে বিতর্ক: পাকিস্তানের সমর্থন, কমিটির বিভাজন
২০২৫ সালের জুন মাসে পাকিস্তান সরকার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানায়, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার সময় ট্রাম্পের “কৌশলগত দূরদৃষ্টি” ও “সক্রিয় কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ” সংঘর্ষ প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
পাকিস্তান দাবি করেছে, মে মাসে কাশ্মীর অঞ্চলে কয়েকদিনের ভয়াবহ গোলাগুলির পর ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এই পদক্ষেপকে “আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাস্তব অবদান” হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
তবে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির অভ্যন্তরে এই মনোনয়ন নিয়ে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। কমিটির পাঁচ সদস্যের মধ্যে তিনজন ট্রাম্পের মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের মতে, ট্রাম্পের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তাঁরা ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কারের জন্য অনুপযুক্ত বলে মনে করছেন।
কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, “শান্তি পুরস্কার শুধু সাময়িক কূটনৈতিক সাফল্যের জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতির মূল্যায়ন করে দেওয়া হয়।”
এদিকে ট্রাম্প নিজেও দাবি করেছেন, তিনি “চার-পাঁচবার নোবেল পাওয়ার যোগ্য” এবং তাঁর শান্তি প্রচেষ্টাগুলো “রাজনৈতিক পক্ষপাতের কারণে” যথাযথ স্বীকৃতি পাচ্ছে না।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊