দেশজুড়ে Airtel বিভ্রাটে নাজেহাল গ্রাহক, সংস্থার আশ্বাসে অপেক্ষা
সোমবার সকাল থেকেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে Airtel গ্রাহকরা এক অদ্ভুত সমস্যার সম্মুখীন হন। ফোনে কথা বলা যাচ্ছে না, ইন্টারনেট চলছে ঢিমেতালে, এমনকি সাধারণ টেক্সট মেসেজও পাঠানো যাচ্ছে না। প্রথমে দিল্লি-NCR, পরে মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, হায়দরাবাদ, চেন্নাইসহ একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়ে এই বিভ্রাট। Downdetector-এর তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট নাগাদ Airtel সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬০০-এরও বেশি।
এই বিভ্রাট শুধু প্রযুক্তিগত সমস্যা নয়, গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনে বড়সড় প্রভাব ফেলেছে। কেউ অফিসের জরুরি মিটিংয়ে যোগ দিতে পারেননি, কেউ আবার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের পাশাপাশি মিমের বন্যাও দেখা যায়। কেউ লিখেছেন, “আমার স্ত্রী ভাবছে আমি ফোন এড়িয়ে যাচ্ছি, Airtel-এর জন্য এখন আমার দাম্পত্য জীবন বিপন্ন!” আবার কেউ সরাসরি অভিযোগ করেছেন, “এই বিভ্রাটের ফলে কাজের সময় নষ্ট হচ্ছে, দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করুন।”
Airtel-এর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমরা বর্তমানে নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের সম্মুখীন। আমাদের টিম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে পরিষেবা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে। এই অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত”। সন্ধ্যার দিকে কিছু অঞ্চলে পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে, অভিযোগের সংখ্যা কমে আসে ৪০০-এর নিচে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে Jio ও Vodafone-Idea গ্রাহকরাও কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন, যদিও তা তুলনামূলকভাবে কম। Airtel, যাদের ভারতে ৩৫৫ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক রয়েছে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে পরিচিত, তাদের এমন বিভ্রাট গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
এই বিভ্রাট শুধু প্রযুক্তিগত নয়, এটি গ্রাহক আস্থার প্রশ্নও। Airtel-এর মতো প্রতিষ্ঠিত সংস্থার কাছ থেকে গ্রাহকরা নিরবিচারে পরিষেবা প্রত্যাশা করেন। সংস্থার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। কিন্তু এই ঘটনার অভিঘাত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, যদি না Airtel গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊