Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

India-US Trade Agreement: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তিতে কতটা লাভবান হবে ভারত !

India-US Trade Agreement: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তিতে কতটা লাভবান হবে ভারত ! 

India-US Trade Agreement: A Detailed Analysis in the Context of 2025



২০২৫ সালের জুলাই মাসে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা অত্যন্ত জোরালো হয়ে উঠেছে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা আলোচনার পর এই চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর বাণিজ্য সচিব ওভাল অফিসে বসে চুক্তির বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করছেন এবং শীঘ্রই ঘোষণা আসতে পারে।

ভারতের পক্ষ থেকে কৃষি ও দুগ্ধ খাতকে সংবেদনশীল বলে উল্লেখ করে এই দুটি ক্ষেত্রকে "লাল রেখা" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই খাতে ছাড় দেওয়া ভারতের পক্ষে সম্ভব নয়। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ভারত তার বাজারে জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য প্রবেশের সুযোগ দিক।

চুক্তির মূল বিষয়বস্তুতে রয়েছে ভারতীয় শ্রমনির্ভর শিল্প যেমন চামড়াজাত পণ্য, পোশাক, গয়না, প্লাস্টিক ও রাসায়নিকের রপ্তানি সুবিধা এবং আমেরিকার পক্ষ থেকে বৈদ্যুতিন গাড়ি, মদ, ওয়াইন, বাদাম, আপেল, জিএম সয়াবিন ইত্যাদি পণ্যের জন্য শুল্ক ছাড়ের দাবি। ট্রাম্প প্রশাসন ২৬% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছিল, যা ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বড় পরিসরের পরিবর্তে একটি সীমিত চুক্তি হতে পারে, যেখানে নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে এবং কৌশলগত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আরও আলোচনা চলবে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খাদ্য নিরাপত্তা, ছোট কৃষকের জীবন-জীবিকা এবং গ্রামীণ অর্থনীতির স্বার্থেই কৃষি খাতকে রক্ষা করতে হবে।

এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পথ প্রশস্ত হবে। তবে চুক্তি ব্যর্থ হলে ট্রাম্প প্রশাসন আবারও শুল্ক আরোপ করতে পারে, যদিও তা ১০% সাধারণ হারে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি থেকে ভারতের লাভ নির্ভর করছে চুক্তির প্রকৃতি ও শর্তাবলীর উপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এটি সীমিত পরিসরের অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি হয়, তাহলে কিছু নির্দিষ্ট খাতে ভারত লাভবান হতে পারে, তবে গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষি খাতে ঝুঁকি রয়ে যাবে।


ভারতের লাভ হবে শিল্প ও রপ্তানি খাতে, যদি চুক্তি সীমিত পরিসরে হয় এবং কৃষি ও দুগ্ধ খাতকে বাইরে রাখা যায়। তবে বৃহত্তর চুক্তি হলে ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভারত সরকার "লাল রেখা" টেনে এই খাতগুলিকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code