এক অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী রইল হলদিবাড়ি ব্লকের পোয়া মারি চামড়ার গোডাউন এলাকায়
প্রচণ্ড গরম আর বৃষ্টির আকাল—এতেই কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। জমিতে ধান রোপণের জল নেই, পাট পচানোর জলাশয় শুকনো। সেই দুশ্চিন্তার ভিড়ে আশার আলো জ্বালিয়ে এল এক টুকরো লোকবিশ্বাস—ব্যাঙের বিয়ে!
এলাকার কিছু মহিলার উদ্যোগে এই ‘ব্যাঙ বিবাহ’ রীতিমতো উৎসবের আবহ তৈরি করে। রাতের বেলা ব্যাঙের সাজগোজ, মালাবদল, আর ধর্মীয় মন্ত্রোচ্চারণে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। আর বিয়ে শেষে পাত পেতে খাওয়াদাওয়া—তাতে অংশ নেন এলাকা জুড়ে শিশু থেকে প্রবীণ সকলেই।
উদ্যোগতারা বলেন, “প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, ব্যাঙের বিয়ে দিলে বর্ষাদেবতা সন্তুষ্ট হন এবং তারপরেই নামে বৃষ্টি। আমরা সেই বিশ্বাসেই এই বিয়ের আয়োজন করেছি।”
যেখানে আধুনিক বিজ্ঞান বৃষ্টি ডাকার সমাধান দিতে পারছে না, সেখানেই ফিরে আসছে লোককথা, প্রবাদ আর সংস্কার। বাংলা গ্রামজীবনের এমন রঙিন রূপই দেখায়—আশা ছাড়ে না এ মাটি। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে মানুষ আজও খোঁজে সমাধান, কখনও ব্যাঙের বিয়ের মতো সাদামাটা এক প্রাচীন বিশ্বাসে।
শেষমেষ, প্রকৃতি কি সাড়া দেবে এই ডাকের? তা জানা যাবে হয়তো কয়েক দিনের মধ্যেই। তবে এতটুকু নিশ্চিত, এই ব্যাঙের বিয়ে শুধু বৃষ্টির টান নয়, মানুষের আন্তরিকতা আর লোকসংস্কৃতির এক মধুর বহিঃপ্রকাশ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊