উত্তরবঙ্গে আষাঢ়ে বৃষ্টির আকাল: অধীর অপেক্ষায় জনজীবন
কোচবিহার, ১৩ জুলাই: আষাঢ় মাস প্রায় শেষ হতে চলল, কিন্তু উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। সাধারণত এই সময়ে উত্তরবঙ্গ ভারী বৃষ্টিতে ভিজে ওঠে, কিন্তু এবার আবহাওয়ার এই অস্বাভাবিক আচরণে জনজীবন বিপর্যস্ত। কৃষিকাজ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবন—সবকিছুতেই এর প্রভাব স্পষ্ট। অধীর অপেক্ষায় দিন গুনছে উত্তরবঙ্গের মানুষ, কবে আসবে স্বস্তির বৃষ্টি।
আষাঢ়ের শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং—এই সব জেলাতেই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি খাত। ধান চাষের জন্য এই সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টির প্রয়োজন হয়, কিন্তু বৃষ্টির অভাবে অনেক জমিতেই চারা রোপণ করা যায়নি, বা যেগুলি রোপণ করা হয়েছে, সেগুলিও শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা গভীর দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। ভূগর্ভস্থ জলের স্তরও দ্রুত নেমে যাচ্ছে, যা পানীয় জলের সংকট তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা কম। যদিও বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে, তবে তা এই অঞ্চলের বৃষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এর পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে। বর্ষার স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হচ্ছে, যার ফলে কৃষির পাশাপাশি পরিবেশের ওপরও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ছে।
উত্তরবঙ্গের মানুষ এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টির আশায়। এই বৃষ্টি শুধু কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে না, বরং সমগ্র অঞ্চলের পরিবেশ ও জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊