বাল্যবিবাহ রোধে একাধিক কর্মসূচি গ্ৰহন করলেও দেশের শীর্ষে বাংলাই! স্কুলে স্কুলে সচেতন শিবির
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-
বাল্য বিবাহ রোধ করতে কন্যাশ্রী,রুপশ্রী, শিক্ষাশ্রী,সবুজ সাথী সহ একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও কেন্দ্রীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য কল্যাণ মন্ত্রকের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বাল্যবিবাহে দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতা থেকে শুরু করে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি প্রভৃতি জেলাগুলিতে রাজ্যের মধ্যে বাল্যবিবাহ সবচেয়ে বেশি। বাল্যবিবাহ রোধে রাজ্য সরকারের পক্ষথেকে একাধিক প্রকল্প নিয়ে আসার পরেও বাল্যবিবাহ পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে এক নম্বরে থাকায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনের কর্তারা। আর এই বাল্যবিবাহ রোধে করতে স্কুলে স্কুলে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।আজ পূর্ব বর্ধমান গলসী 2 ব্লকের সাটিনন্দী গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সাটিনন্দী বিদ্যায়তনে একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। এ দিনের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন গোলসি ২ এর বিডিও মৈত্রী ভৌমিক,সিডিপিও,বি,ও এম এইচ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহসভাপতি,
গলসী থানার পুলিশ আধিকারিক, সাটিনন্দী পঞ্চায়েত প্রধান বনশ্রী যশ সহ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও আধিকারিকরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী তাদের অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
এদিনের অনুষ্ঠানে বিডিও মৈত্রী ভৌমিক বলেন বাল্যবিবাহের একটা বড়ো কারন হলো অশিক্ষিত।2025 পূর্ব বর্ধমানের গলসি 2ব্লকে স্কুল ছুটের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। স্কুল ছুটের কারনে এবছর 341 টি মেয়ের কন্যাশ্রী রিনিউ করা যায়নি।এর অধিকাংশ মেয়েদের বাল্যবিবাহ হয়েছে বলে জানান বিডিও। মৈত্রী ভৌমিক আরো বলেন বাল্যবিবাহ হলো একটা ক্রাইম। পাশাপাশি অর্থ রোজগারের আশায় অপ্রাপ্ত বয়সি ছেলেরা পড়াশোনা ছেড়ে ভিন জেলায় বা ভিন রাজ্যে গিয়ে একটা কাজ ধরে নিচ্ছে।এর ফলে তাদেও ক্ষতি হচ্ছে।এর জন্য মা বাবাদের সতর্ক থাকার আবেদন করেন।
উপস্থিত আধিকারিকরা বলেন অপ্রাপ্ত বয়সি ছেলে মেয়েদের বিয়ে হলে তাদের পক্সো আইনের আওতায় আনা হয়।প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাদের হোমে রাখা হয়। সেখানে কোরো সাথে দেখা করার কোনো সুযোগ থাকে না।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊