সাইকেলে বিশ্ব রেকর্ড বাংলার প্রথম কমবয়সী বাঙালি মেয়ে ঐন্দ্রিলা, পৃথিবীর তৃতীয়, প্রথম ভারতীয় এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে নজির বাপীর

Cycling record


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:

সাইকেলে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন পশ্চিম বাংলার প্রথম কমবয়সী বাঙালি মহিলা ঐন্দ্রিলা আঢ্য। অন্যদিকে পৃথিবীর তৃতীয়, প্রথম ভারতীয় এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বাঙালি হিসাবে মাউণ্ট এভারেষ্টের অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পে পৌঁছালেন ত্রিপুরার বাসিন্দা বাপি দেবনাথ ওরফে নীল।

গত ২২শে মার্চ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেনারস হয়ে পোখরা, নয়াপুল, চমরং হয়ে ব্যাম্বো, হিমালয়া, মাছপুছে বেস ক্যাম্প হয়ে ১৮ই এপ্রিল দুপুর ১২.০৬ মিনিটে অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পে সাইকেল নিয়ে পৌছায় ঐন্দ্রিলা।

ঐন্দ্রিলার চোখে স্বপ্ন দুচাকায় পাহাড় পাড়ির।উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করেই যাত্রা শুরু করে সে। এবং এই যাত্রায় সফল‌ও হয়।ঐন্দ্রিলার আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বাবার চায়ের দোকান, সংসারে নিত্য টানাটানি, তবুও‌ নিজের এবং বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। অন্যদিকে গত ১৪ ই জুলাই ২০২৪ সালে কোলকাতা থেকে সাইকেল চালিয়ে তৃতীয় ভারতীয় সাইকেলিস্ট হিসাবে মাউন্ট এভারেস্ট বেস ক্যাম্প পৌঁছে দেশের নাম উজ্জ্বল করে তুলেছেন বাপি দেবনাথ।এই অভিযানে তাদের শ্লোগান ছিল- আত্মহত্যারোধ ও ড্রাগের নেশা সর্বনাশা। নারী সুরক্ষা, সুস্থ সমাজ।

বাপি দেবনাথ জানিয়েছেন, একসময় তিনি চলচ্চিত্রে ক্যামেরাম্যানের কাজ করতেন। কলকাতায় রয়েছেন প্রায় ১২বছর। এই কাজ করতে গিয়েই তিনি প্রকৃতির টান অনুভব করেন। আর বছর চারেক আগে সেই কাজ ছেড়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সাইকেল নিয়ে পর্বত অভিযান করছেন। এর আগেও তিনি বেশ কয়েকটি পর্বত অভিযান করলেও অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প জয় ছিল অন্য ধরণের অভিজ্ঞতা।

ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন এটা ছিলো তার স্বপ্ন।কিছুটা সফল হয়েছে। আগামীতে আরো উঁচুতে পৌঁছবে।এই সফলের জন্য সঙ্গে ছিল তার পথ প্রদর্শক ত্রিপুরার বাসিন্দা বাপি দেবনাথ।দাদা না থাকলে একা আমার পক্ষে অনেকটাই অসম্ভব হতো বলেই জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন আমার আশপাশে অনেকেই এখন ঘর মুখী। ফোনে আবদ্ধ। তাদের জগৎ দেখাতে ইচ্ছা রয়েছে। নিজের জেলা হুগলীতে একটি সাইক্লিং ক্লাব খোলার আর বন্ধুবান্ধবদের সামাজিক মাধ্যমে রিলস ছেড়ে সাইকেল মুখী করার উদ্যোগ নিতে চায় সে। এই অভিযানে তাদের শ্লোগান ছিল- আত্মহত্যারোধ ও ড্রাগের নেশা সর্বনাশা। নারী সুরক্ষা, সুস্থ সমাজ।

বর্ধমান সাইক্লিং ক্লাবের সদস্য পার্থপ্রতীম মিত্র বলেন তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশ বান্ধব হিসাবে সাইকেল ব্যবহার নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের এই আন্দোলনের সাথী হয়েছেন নীল এবং ঐন্দ্রিলা আঢ্য। তাঁদের এই সাফল্যে তাঁরাও গর্বিত।