স্থায়ীকরণের দাবিতে রাজ্যজুড়ে ডেপুটেশন বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের

স্থায়ীকরণের দাবিতে রাজ্যজুড়ে ডেপুটেশন বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের


দীর্ঘদিন ঠিকমত এস এস সি না হওয়ার ফলে আমাদের রাজ্যে বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষকের অভাব থাকায় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা নিরুপায় হয়ে এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।এইসব আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ করেন এবং স্কুল ফান্ড থেকে তাদের সামান্য বেতন মাসিক ২০০০টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়। সারা রাজ্যে প্রায় দশ হাজার জন আংশিক সময়ে শিক্ষক রয়েছে।

একইভাবে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে গভর্নিংবডি দ্বারা আংশিক সময়ের অধ্যাপক নিযুক্ত হয়েছিলেন যাদের সরকার স্থায়ীকরণ করেছেন এবং বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ এখনও বঞ্চিত রয়েছেন বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষকদের দাবি তাদেরও যেন সরকারি আওতার মধ্যে নিয়ে এসে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মের সুনিশ্চয়তা প্রদান করা হয় এবং সরকার যেন বাঁচার মতো একটা বেতন কাঠামো তৈরি করেন। এই দাবিতে তারা ২০১৯ সাল থেকে বারবার বিভিন্ন জেলায় এম এল এ, এম পি,নেতা,মন্ত্রী, সভাধিপতি সকলকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিকাশ ভবন, নবান্ন, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে বারবার আবেদন করেছেন। এক ডাকে অভিষেক, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে ফোন করে তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।

এমনকি মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জেলায় জনসভা করার সময় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি করার সময় উনাদের সিকিউরিটি গার্ডের হাতে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তথাপি তাদের সমস্যার বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।

তাই ২০মে মঙ্গলবার পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজ্যজুড়ে প্রায় সমস্ত জেলায় ডি আই অফিসে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর,পূর্ব মেদিনীপুর,মালদা,হাওড়া,কোচবিহার, মুর্শিদবাদ, নদীয়া,পূর্ব বর্ধমান, হুগলি,আলিপুরদুয়ার,উত্তর দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম ইত্যাদি জেলার ডি আই অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।

সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘরিয়া জানিয়েছেন আজ বিভিন্ন জেলায় প্রায় ২০০০ জন আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। এরপরেও যদি সমস্যার কোন সমাধান না হয় তাহলে আগামী দিনে কলকাতার রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।