“এই ফলাফল আমি আশা করিনি।”: মাধ্যমিকে প্রথম অদৃত সরকার


প্রকাশিত হল মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জের অদৃত সরকার। রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের ছাত্র অদৃত সরকার, ৭০০-র মধ্যে সে পেয়েছে ৬৯৮। মেধা তালিকায় নাম ঘোষণা হওয়ার পর কেঁদেই ফেলে সে। সে জানায়, “এই ফলাফল আমি আশা করিনি।”

বাবা অমিত কুমার সরকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। মা সীমা সরকার গৃহবধূ। দিদি অর্পিতা সরকার কলেজ পড়ুয়া। অঙ্কের ছাত্রী সে। অদৃতের সাফল্যে খুশি সকলেই। ভাইয়ের সাফল্যে খুশি হয়ে অর্পিতা বলেন, “ওকে পড়ার কথা বলতেই হয়নি। পড়ার বই তো বটেই, অন্যান্য বিষয়ের বই পড়তেও খুব ভালোবাসে। এ ছাড়াও কুইজে খুব ভাল ও, সদ্য জেলার একটি প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে।”

ভবিষ্যতে নিট বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশনে উত্তীর্ণ হওয়াই লক্ষ্য। তার কথায়, “এই ফলাফল আমি আশা করিনি।”


অদৃত সরকার বলেন, 'পরীক্ষায় ভাল করব এটা জানতাম। ভেবেছিলাম যে প্রথমে থাকব। তবে রাজ্যে প্রথম হব এটা ভাবিনি। রেজাল্টটা দেখে চোখে জল এসে গিয়েছিল। সারা বছর যা পরিশ্রম করেছি আজ তার ফল পেয়েছি। বাঁধা ধরা সময়ের রুটিন ছিল না। তবে প্রতিদিনই পড়েছি যতটুকু ইচ্ছে করত। নিয়মিত পড়াশুনো চালিয়ে গেছি। বাবা, মা, দিদি, শিক্ষকরা সবসময় পাশে ছিল। সবার অবদান রয়েছে। গান সিনেমার থেকে সাহিত্যর প্রতি ঝোঁক বেশি আমার। পরীক্ষার আগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা টানা পড়তাম।' 



অদৃতের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬, ৯৯.৪৩ শতাংশ। আগাগোড়া পড়াশোনায় মনোযোগী আদৃতের পরীক্ষার ফলাফলে সব বিষয়েই গ্রেড AA। বাংলা ও ইংরেজি, উভয় বিষয়েই পূর্ণমান পেয়েছে সে। ফুলমার্কস পেয়েছে অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান, ইতিহাসেও। মাত্র ২ নম্বর করে কাটা গিয়েছে জীবন বিজ্ঞান ও ভূগোলে। 



শুক্রবার প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল। প্রথম দশে ৬৬ জন। পাশের হারের নিরিখে প্রথম স্থানে পূর্ব মেদিনীপুর, এর পর দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং, তৃতীয় স্থানে কলকাতা এবং চতুর্থ পশ্চিম মেদিনীপুরের পড়ুয়ারা রয়েছে।