রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ, অষ্টম,নবম এবং দশম স্থান অধিকার করে জেলার নাম উজ্জ্বল করলো পূর্ব বর্ধমানের চার ছাত্র ছাত্রী

East Burdwan


সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান :-

রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ, অষ্টম,নবম এবং দশম স্থান অধিকার করে জেলার নাম উজ্জ্বল করলো পূর্ব বর্ধমানের চার ছাত্র ছাত্রী।এদের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করে কেতুগ্ৰাম নিরোর হাইস্কুলের ছাত্র মহম্মদ সেলিম।৬৮৮ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করে শহর বর্ধমানের বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রি পাপড়ি মন্ডল।এদিকে ৬৮৭ নম্বর পেয়ে নবম স্থান অধিকার করে বর্ধমান মিউনিসিপাল বয়েজ স্কুলের ছাত্র পরমব্রত মন্ডল। অন্যদিকে মঙ্গলকোটের কাশেমনগর বি এন টি পি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী স্বাগতা সরকার ৬৮৬ নাম্বার পেয়ে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করে।

শুক্রবার টেলিভিশন এর মাধ্যমে খবর জানতে পেয়ে খুশি জোয়ার ব‌ইছে সকলের বাড়িতে। খুশির খবর পাওয়া মাত্রই উচ্ছাস দেখা গেলো পাপড়ির বাড়িতে। অষ্টম স্থান অধিকারি পাপড়ি মন্ডল বলে বর্তমানে যে পরিমানে পশু পাখির ক্ষতি হচ্ছে।গাছ পালা নষ্ট হচ্ছে তাতে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।তাই ভবিষ্যতে সে এগ্ৰিকালচার নিয়ে পড়াশোনা করে ফরেষ্ট অফিসার হতে চায়। তার পড়াশোনার বিষয়ে তার মা বাবার অনেক অবদান আছে বলে জানায় পাপড়ি।

এদিকে নবম স্থান অধিকার করে পরমব্রত মন্ডল।পরমব্রত মন্ডলের অষ্টম স্থান অধিকারের খবর পাওয়া মাত্রই ফুল মিষ্টি নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন স্থানীয়রা।পরমব্রত মন্ডল বলেন আগামী দিনে বিজ্ঞান নিয়ে রিসার্চ করতে চায়। পড়াশোনার ফাঁকে সে গান শোনা ও খেলা ধুলা পছন্দ করে।তার ৭ জন গৃহশিক্ষক ছিলো বলে জানায় সে।

অন্যদিকে রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান অধিকার করে মঙ্গলকোটের কাশেমনগর বি এন টি পি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী স্বাগতা সরকার।টিভিতে স্বাগতার খবর জানতে পের ফুল মিষ্টি নিয়ে তার বাড়িতে পৌছায় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। আগামী দিনে সে ডাক্তার হতে চায় বলে জানায় স্বাগতা।স্বাগতা পড়াশোনার পাশাপাশি তার বাড়ির কাজে মায়ের সাথে হাত লাগায়।