প্রধানমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরে নেই দিলীপ, তবে কি ব্রাত্য করার চেষ্টা? কি বললেন দিলীপ
বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃ ভ্রমণে আসেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।প্রধানমন্ত্রীর সফরে নেই দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, উত্তরবঙ্গের কর্মসূচি আছে ওখানকার কর্মীরা থাকবে। কলকাতা যখন আসবে আমরা থাকবো। যারা পদাধিকারী আছে তাদের প্রটোকল থাকে তাদের থাকতে হয় প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আমি কোন পদাধিকারী নই আমি সাধারণ কর্মী হিসেবে এখানে যখন আসবে তখন যাব।
পার্টির রাজ্য নেতারা কি দিলীপ ঘোষকে ব্রাত্য করতে চাইছে? তিনি বলেন, শিকার কে করল কে করলো না তাতে কিছু যায় আসে না আমাকে পার্টি যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। যেটা অসম্পূর্ণ আছে পরবর্তী যারা আছে তারা পূর্ণ করবে। আমাদের অবদান রাখার চেষ্টা করি যাতে পার্টি লাভবান হয়।
দল কি কাজে লাগাচ্ছে না দিলীপ ঘোষ কে? তিনি জানান, দল আমাকেও মর্যাদা দিয়েছে পদ দিয়েছে। নির্বাচন শেষ হয়েছে সাংবিধানিক পদ্ধতিতে গোটা দেশে কমিটি তৈরি হচ্ছে। নতুন কমিটিতে কে কোথায় জায়গা পায় দেখে কাজ হবে। আবার পার্টি যদি আমায় দায়িত্ব দেয় তাহলে দায়িত্ব পালন করব।
তিনি জানান, অনেকে যোগাযোগ রাখেন রাজ্য নেতারা। আগেও অনেক ব্যাপার নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। যারা নিজের জায়গা নিয়ে চিন্তায় থাকে অস্তিত্ব সংকটে থাকে তাদের ভয় আছে। দিলীপ ঘোষের কোন জায়গার জন্য লড়াই করে না তাই কোন ভয় নেই। আপন পর বয়কটে বিশ্বাসী নই। জানিনা কে পলিসি তৈরি করে বিজেপি এরকম কোন নিয়ম করেনি। কোর কমিটি মিটিং হলে যাব।
বনগাঁ হামলার ঘটনায় তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা থানা আক্রমণ করা দুষ্কৃতিকারীদের ছিনিয়ে নেওয়া পুলিশের কাছ থেকে এর সংখ্যা বাংলায় । কারণ প্রশাসনের প্রতি মানুষের ভয় কমছে। এই প্রশাসনের কোন কন্ট্রোল নেই কোথাও। সমাজে প্রভাবিত হচ্ছে সমাজ বিরোধীরা।
ডায়মন্ড হারবার থানার পাশে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডায়মন্ড হারবার একটা মডেল হয়ে গিয়েছে যেখানে যা ইচ্ছা করা যায়। ওখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যত সমাজ বিরোধীরা। বাজি ফাটলে মানুষের হাত-পা উড়ে যায় এমন তো জীবনে দেখিনি। এ ধরনের এটম বোম এর মত বিস্ফোরণ কোথাও দেখিনি । আর এগুলোকে বাজি বলে চেপে দেওয়ার চেষ্টা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী টাকা নিয়ে আসছেন না। বাংলার মানুষের জন্য বার্তা নিয়ে আসছেন । যে দুঃখ কষ্ট বাংলার মানুষের চলছে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা চলছে এর থেকে মুক্তির একমাত্র পথ বিজেপি। টাকা যদি চাইতে হয় হিসেব নিয়ে চুপচাপ দিল্লি যান বসুন হিসেব দিন টাকা নিয়ে আসুন।
চাকরি হারাদের সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন একটা সমস্যা এলে পুরনো সমস্যা ভুলে যায়। এসএসসি পরীক্ষার্থী যারা পাস করে বসে ছিল তাদের কথা ভুলে গেছে মানুষ। এ ধরনের বহু সমস্যা আমরা ভুলে গিয়েছি। সমস্যার সমাধান হচ্ছে না সমস্যা বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী কোন সমস্যার সমাধান তৈরি করেন না। মানুষকে ভুললে হবে না।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊