রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে আইনে পরিণত হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়েছিল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। আর তারপর শনিবার সেই বিলে সই করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের সাথে সাথে আইনে পরিণত হল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। গত বুধবার বিলটি পেশ করা হয়েছিল লোকসভায়। সুদীর্ঘ আলোচনার পর তা পাশ হয় সংসদের নিম্নকক্ষে। তারপর দিন বিলটি পেশ করা হয়েছিল রাজ্যসভায়। সেখানেও প্রায় ১২ ঘণ্টা আলোচনার পর পাস হয়ে যায় বিল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতি পাওয়ার পর শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৫। পিটিআই সূত্রে খবর, ওয়াকফ (সংশোধন) আইন, ২০২৫, ৫ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেয়েছে।
মুসলিম আইনে যে স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি দলিলের মাধ্যমে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয় তাই হল 'ওয়াকফ'। এই সম্পত্তিকে বলে 'ওয়াকফ সম্পত্তি'। এই সম্পত্তির দেখভাল করে ওয়াকফ বোর্ড। এতদিন ওয়াকফ আইন ১৯৯৫-এর ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে 'ওয়াকফ' হিসাবে ঘোষণার অধিকার ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। কিন্তু নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে তা সরকারের সঙ্গে জুড়ছে। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সংশোধিত বিলে আরও বলা হয়েছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার সিদ্ধান্ত না নেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিতর্কিত সম্পত্তি ওয়াকফের নয়, সরকারি সম্পত্তি হিসেব গণ্য হবে। এছাড়াও আরও কিছু পরিবর্তন রয়েছে নয়া এই আইনে।
এদিকে ওয়াকফ বিল সংশোধন নিয়ে ইতিমধ্যে বিরোধীতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, এর আইন ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতাকে খর্ব করে মুসলিমদের অধিকার হরণ করবে। যদিও কেন্দ্রের দাবি, এর ফলে সার্বিক ভাবে মুসলিমদের উন্নতি হবে। ক্ষমতায়ন হবে মুসলিম মহিলাদের। কেন্দ্রের যুক্তি, এর ফলে সার্বিক ভাবে মুসলিমদের উন্নতি হবে। মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসে ‘হস্তক্ষেপ’ করবে না নতুন আইন। ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে অস্বচ্ছতা দূর হবে। মুসলিম মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির দিশা দেখাবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊