ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে নতুন পালক, সোমবার থেকে শুরু অনলাইন বুকিং

New feather in Dooars' tourism industry, online booking starts from Monday



ডুয়ার্সবাসীদের জন্য বাংলা নববর্ষে বন দফতরের উপহার, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর বুকিং শুরু হচ্ছে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় পানঝোরা জঙ্গল ক্যাম্পের, খুশীর হওয়া সব মহলেই।

গরু মারা জাতীয় উদ্যান বিভাগের অন্তর্গত চাপরা মারি জঙ্গলের পাশে এক উচু টিলা, নিচ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পাহাড়ী নদী মূর্তি, সেই নদীর ওপর সেতু দিয়ে ছুটে যায় কলকাতা গামী ট্রেন সহ টুরিস্ট স্পেশালঃ ভিস্তাডোম, সকাল থেকেই অবিরাম ময়ূরের ডাক,সন্ধ্যে হতেই বন্য প্রাণীদের আনাগোনা । আগামী ২১ এপ্রিল থেকে অনলাইন বুকিংয়ের মাধ্যমে এমন এক রোমাঞ্চকর পরিবেশের স্বাদ নিতে পারবে দেশী বিদেশী পর্যটকেরা।

আর এতেই হাসি ফুটেছে পানঝোরা বণবস্তির প্রায় ৭০ টি জনজাতি গোষ্ঠীর পরিবারের মুখে। পর্যটকদের কাছে বরাবরের আকর্ষণীয় জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি থানার অন্তর্গত জাতীয় সড়কের পাশের এই ক্যাম্প প্রসঙ্গে পানঝোরা বণবস্তিবাসীদের নিয়ে গঠিত জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সম্পাদক অমৃত ছেত্রী বলেন, বিগত চার বছর অনেক কষ্টে দিন গুজরান করেছে এই অঞ্চলের মানুষ, সোমবার থেকে নতুন করে বুকিং শুরু হচ্ছে এই জঙ্গল ক্যাম্পের ,আসবে দেশি বিদেশি পর্যটকেরা এবং এখানে এই মুহূর্তে তৈরি চারটি কটেজে তিন সদস্যের পরিবার থাকতে পারবেন এবং আগত পর্যটকদের খাবার দাবার সবই এই বনবস্তিবাসীদের নিয়ে গঠিত কমিটি থেকে পাবেন , যাতে করে কিছুটা হলেও উপার্জনের পথ খুঁজে পাবে, এই কারণেই আমি রাজ্যে সরকার,বন দফতর সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এমন ভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

অপরদিকে ডুয়ার্সের চালশার বাসিন্ধা তথা পরিবেশ কর্মী তানিয়া হক সর্দার নতুন করে পানঝোরা জঙ্গল ক্যাম্পটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে জানান, এমন একটি প্রজেক্ট নতুন ভাবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য আমরা প্রথমেই রাজ্যে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই,এর সঙ্গে বন দফতরকে, কারন এই প্রজেক্ট গুলো থেকে বন বস্তিবাসী ,পর্যটক এবং সর্বোপরি ডুয়ার্সের যে অর্থনীতির যে তিনটি প্রধান স্তম্ভ সেটি শক্তিশালী হলো পুনরায়।

এদিকে নতুন রূপে সেজে ওঠা পানঝোরা জঙ্গল ক্যাম্পে ভিড় জমিয়েছে বন বস্তিবাসিরা , মুখে ফুটেছে হাসি। নিজেদের অনুভূতি নিয়ে বলতে পানঝোরা বন বস্তির বাসিন্দা মনিকা কারর্কি বলেন, এই কটেজ সোমবার থেকে আবার খুলে যাচ্ছে ,টুরিস্ট আসবে আবার, আমাদের আয়ের একটা পথ খুলে যাচ্ছে ।