জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ! রণক্ষেত্র পেটলা

Petla


জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চেহারা নিল দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের পেটলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দিরা বাজার এলাকায়। রবিবার বেলা দশটা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ব্যাপক সংখ্যক ব্যক্তি আহত হয়। তাদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।



ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের পেটলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দিরা বাজার এলাকায় একটি জমির মালিকানা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বিষয়টি ফয়সালা করার জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। আগামী শনিবার ফের বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৈঠক ডেকেছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য।



এদিন সকালে একদল গিয়ে বিতর্কিত সেই জমির চারদিকে বেরা দেওয়ার চেষ্টা করে। অপরপক্ষ তার প্রতিবাদ করে এবং বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এরফলে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা বাঁধে। এক সময় তার সংঘর্ষের রূপ নেয়। একপক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে রীতিমতো লাঠি-সোটা এমনকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। ফলে এলাকায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তাদের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ওই সংঘর্ষে একটা ব্যাপক সংখ্যক ব্যক্তি আহত হয়। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। যারা আহত হয়েছে তারা হলো মোফাজুল মিয়া, কাছেদ আলী মিয়া, মোবারক মিয়া, শাহানুর মিয়া, ইয়ানুস মিয়া এবং ইয়াজুদ্দিন মিয়া। এদের কারো মাথা ফেটে গিয়েছে, কারো বা হাত কেটে গিয়েছে, আবার কারো পা ভেঙে গিয়েছে। এই ৬ জন বর্তমানে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।



এ বিষয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাহানুর মিয়া বলেন, বিতর্কিত যে জমি আমরা সেখানে জমির চারদিকে ঘিরে রাখার জন্য গিয়েছিলাম। কোনরকম জমি দখলের উদ্দেশ্যে যায়নি। কিন্তু ওরা অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর আক্রমণ চালায়।



অপরদিকে মোফাজুল মিয়া বলেন, আগামী শনিবার এই জমি নিয়ে মীমাংসার জন্য বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়েছিল। তার আগেই এদিন ওরা সেই জমি দখল করতে এসেছে। বাধা দিতে যাওয়ায় তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়।



এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দিনহাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি পুলিশ দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার খোঁজখবর নিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে। ঘটনা নিয়ে পুনরায় এলাকা যাতে উত্তপ্ত হয়ে না উঠে তার জন্য পরিস্থিতির দিকে পুলিশের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।