বাঁকা নদীর সংস্কারে বিশেষ আলোচনা সভা

Banka river meeting


সঞ্জিত কুড়ি, বর্ধমান সদর :-

২০২৬ সের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শেষ 'পূর্ণাঙ্গ বাজেটে' প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।২০২৫ সের বাজেটে বাংলার নদী কেন্দ্রিক এলাকা সংস্কারের জন্য 'নদী বন্ধন' নামে একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন।

এই প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ওই প্রকল্পের মোট খরচ হল ১,৫০০ কোটি টাকা।ফারাক্কার জন্য নদী ভাঙ্গন বন্ধে ২০০ কোটি টাকার মাস্টার প্ল্যানের কথা বলা হয়েছে। গঙ্গা সাগর সেতু চার লেন করতে ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য বাজেটে।

এর পরই বর্ধমানের বাঁকা নদীর সংস্কারের উদ্যোগ নেন বর্ধমান দক্ষিণে বিধায়ক খোকন দাস।বাঁকা নদীর সংস্কার বিষয়ে আজ বর্ধমান সাংস্কৃতিক লোকমঞ্চে একটি বিশেষ আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। এদিনের সবায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কীর্তি আজাদ, জেলা শাসক আয়েশা রানী এ,বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ বাঁকা নদি বিশেষজ্ঞরা।এদিনে অনুষ্ঠানে বাঁকা নদী বিশেষজ্ঞরা বাঁকা নদীর সংস্কার ও বাঁকা নদীর পরিচর্যা বিষয়ে নানা ধরনের পরামর্শ দেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন বাঁকা নদী সংস্কারের অতি প্রয়োজন আছে।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন বাঁকা সংস্কারের বিষয় নিয়ে ফেলে রাখলে চলবে না। অতি দ্রুত মাস্টার প্ল্যান বের করে কাজে লেগে পড়তে হবে। এর জন্য প্রয়োজন অর্থ।এই অর্থ শুধু রাজ্য সরকারের দ্বারা সম্ভব না। এর জন্য সাংসদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেও ফান্ড আনার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথম কাজ হবে বাঁকা নদীটির সংস্কারের জন্য কি কি করা প্রয়োজন এবং তা কিভাবে করা সম্ভব হবে সেটা দেখতে হবে।

বাঁকা নদীতে এতো লোড এতো পলিউশন সেই জন্য বাঁকা নদী আগের মত আর একে বেঁকে চলে না। এখন বাঁকা নদীকে দেখে আগের মত আর কবিতা আসবে না। বাঁকা নদীকে দেখে এখন দুঃখ হবে। এখন বাঁকা নদী আর নদী নেই। বাঁকা নদী এখন ডোবা হয়ে গেছে। এই বাঁকা নদীকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে হবে। এবং মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সমস্ত নদীগুলোর উপরে যেরকম নজর দিয়েছে এই নজরকে সামনে রেখে এই বাঁকা নদীর চারিপাশে সংস্কার করে গাছপালা লাগানো ব্যবস্থা করতে হবে।




সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন বর্তমানে নদীর জল আর আগের মত প্রবাহিত হয় না।নদীর জল এখন দূষিত হচ্ছে, তার কারণ কল কারখানার দূষিত জল পরিশোধন না করে নদীতে ফেলার ফলে নদীর জল দূষিত হচ্ছে। এর ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নদী সংস্পর্শ এলাকার মানুষদের।

বাঁকা নদীর আশেপাশে কংক্রিটের বাড়িঘর হয়ে গেছে,এবং বাঁকা নদীতে নোংরা আবর্জনা ফেলে এর গতিপথ নষ্ট করা হয়েছে। সেই কারণে বাঁকা নদীর জল আর আগের মত প্রবাহিত হয় না। বাঁকা নদীকে আগের মত ফিরিয়ে আনতে হবে।

বিধায়ক খোকন দাস বলেন দিনে দিনে বাকার গভীরতা কমে যাচ্ছে, বর্ষাকালে বাঁকা নদীর জল শহরে প্রবেশ করছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শহরবাসীকে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় উন্নতি করা হয়েছে বাঁকা নদীকেও সংস্কার করে উন্নত করতে হবে বলে জানান বিধায়ক খোকন দাস।