বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ
ড. দীপাঞ্জন দে: বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্রের জন্মশতবর্ষ পূর্তি উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত হলো ‘বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র স্মারকগ্রন্থ’ এবং কৃষ্ণনগরে স্থাপিত হলো কাশীকান্ত মৈত্রের একটি আবক্ষমূর্তি। কাশীকান্ত মৈত্র জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে এই গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর পৌরসভার দ্বিজেন্দ্রমঞ্চে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে গ্রন্থটির আবরণ উন্মোচিত হয়। সেই সময় মঞ্চে একাধিক বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। মৈত্র পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কাশীকান্ত মৈত্রের মেয়ে শমিতা রায়, জামাতা সুদীপ রায় ও পুত্রবধূ চৈতালী মৈত্র।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর পৌরসভার চেয়ারপার্সন রীতা দাস, কিরনময় নন্দ, সমাজসেবী শংকরেশ্বর দত্ত, শিবনাথ চৌধুরী, সত্যেন ব্যানার্জি, বিধায়ক কল্লোল খাঁ, বিমলেন্দু সিংহ রায়, রুকবানুর রহমান-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং বিশিষ্টজনেরা। প্রায় চারশো পাতার এই স্মারকগ্রন্থটির সম্পাদক ড. দীপাঞ্জন দে। সংকলন সহায়তায় শিবনাথ চৌধুরী ও সত্যেন ব্যানার্জি।
কাশীকান্ত মৈত্র জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি এবং পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র স্মৃতি সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্যোগে এদিন বিকেলে কৃষ্ণনগরের নেদিয়ারপাড়া মোড়ে কাশীকান্ত মৈত্রের একটি আবক্ষমূর্তিও স্থাপিত হয়। মূর্তিটি উন্মোচন করেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র সম্পর্কে জানতে আগামী প্রজন্মের গবেষকদের কাছে আকর হিসেবে বিবেচিত হবে এই স্মারকগ্রন্থটি। কাশীকান্ত মৈত্রের পিতা, ভারতের সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে অন্যতম পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র-সহ সমগ্র মৈত্র পরিবার সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এই গ্রন্থের দুই মলাটের ভিতরে সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে।
গ্রন্থটিতে রয়েছে স্মরণে-মননে কাশীকান্ত মৈত্র, কাশীকান্ত মৈত্র— সংক্ষিপ্ত জীবনী, জন্মশতবর্ষে কাশীকান্ত স্মরণ, প্রয়াণ-লেখ, বিধানসভায় কাশীকান্ত মৈত্রের ভাষণ, 'ন্যায়শাস্ত্রী' ছদ্মনামে তাঁর রচনা, জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কর্মসূচি, এক ফর্মার পুস্তিকা, বঙ্গবিভূষণ সম্মাননা, গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র, লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, জন্মশতবর্ষে নিজভূমে ব্রাত্য কাশীকান্ত, কাশীকান্ত মৈত্র রচিত পুস্তিকা, কাশীকান্ত মৈত্র জন্মশতবর্ষে আঞ্চলিক পত্রিকায়, জীবনপঞ্জি, চিত্রাবলি-সহ আরও অনেককিছু। কাশীকান্ত মৈত্রের জন্মশতবর্ষে এই নির্মাণের মধ্যে দিয়েই আমরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা-স্মরণ জানালাম।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊