আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে হাতে বোনা লেপ, তোষক
সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান :-
একটা সময় ছিলো শীত মানেই হাতে তৈরি লেপ তোষক। বছর শেষের আগেই কাঁধে তুলো, কাপড়,লাঠি,ধুনুই নিয়ে বেড়িয়ে পড়তো কাপাশিরা। ঘরে বসেই উচ্চ কন্ঠে শোনা যেতো কাপাশিদের লেপ তোষক বোনার কন্ঠস্বর।পৌষ,মাঘ মাসের কুয়াশায় ভরা অন্ধকারাচ্ছন্ন কনকনে ঠান্ডায় যখন স্নানকরাতো দূরস্ত, ঘর থেকে বড়োনোই কষ্টের, আর ঠিক সেই সময় কাপাসিয়াদের লাল শালু কাপড়ে মোড়া তুলোর তৈরি লেপ,মুড়ি দিয়ে বিছানায় শুয়ে বা বসে গরমের অনুভূতিটাই ছিলো একটা আলাদা রকম। কিন্তু কালেক্রমে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেসব হারিয়ে যেতে বসেছে।
বর্তমানে কাপাশিদের হাতে বোনা লাল শালু কাপড়ে মোড়া লেপ না,বড়ং ভিন রাজ্যের রং বেরঙের সিন্থেটিক তুলো বা পশমের তৈরী কম্বল, ব্ল্যাঙ্কেটর চাহিদা বাড়ছে ক্রমশ।যদিও এই বিষয়ে ক্রেতারা বলেন হাতে বোনা লেপের তুলনায় কম্বল বা ব্ল্যাঙ্কেট ভালো।যেমন দেখতে সৌন্দর্য তেমন হাল্কা। দামেও কম। শুধু তাই-ই নয় কম্বল বা ব্ল্যাঙ্কেট নোংরা হলে সেটা ধোয়া যায়, কিন্তু হাতে বোনা তুলোর তৈরি লেপ বা তোষক নোংরা হলে তা ধোয়া যায় না।
কাপাসিয়ারা বলেন ভিন রাজ্য থেকে আসা পশমের তৈরী রং বেরঙের নানা ধরনের কম্বল ব্ল্যাঙ্কেট আসার ফলে হাতে তৈরি লেপ তোষকের চাহিদা ক্রমশ কমছে, ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কাপাসিয়া দের। একটা সময় ছিল শীত আসলেই হাতে তৈরি লেপের চাহিদা পাওয়া যেত কিন্তু বর্তমানে সেটা এখন অতীত।
ভিন রাজ্য থেকে আসা কম্বল ব্ল্যাঙ্কেট বিক্রেতারা বলেন ঠান্ডা না পড়ায় তেমনভাবে কম্বল ব্ল্যাঙ্কেট বিক্রি হচ্ছে না। বছর কয়েক আগেও কম্বল ব্ল্যাঙ্কেটের চাহিদা ছিলো এখন আর তেমন নেই।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊