মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়ে বড় দুর্ঘটনায় দিতে হবে বড় খেসারত, নির্দেশ হাইকোর্টের


Highcourt

মদ পান করে অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালানো আর সেই গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটেই চলছে। তবে এবার মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা হলেই বড় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললো কলকাতা হাইকোর্ট। কেউ মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালালেন এবং তার পর দুর্ঘটনায় পথচারী বা অন্য গাড়ির চালক কিংবা যাত্রীর মৃত্যু হলে ওই মত্ত চালকের নামে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করতে বলল হাই কোর্ট।

ছোট দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া গেলেও বড় দুর্ঘটনায় নয় এমনটাই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে ‘বড় দুর্ঘটনা’র ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করতে হবে। রাজ্যকে ওই পরামর্শ দেওয়ার সময় বিচারপতি ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের সব আইনজীবীর কাছে আমার পরামর্শ, দয়া করে প্রথমে ওই সংক্রান্ত (বড় দুর্ঘটনা) বিষয়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করতে বলুন। এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে বলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।’’

পথ দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যুতে সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার এই অভিযোগ তুলে হাওড়ার এক জনৈক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ মদ খেয়ে মত্ত অবস্থান গাড়ি চালিয়ে তাঁর ছেলেকে ধাক্কা মেরেছিল গাড়িটি কিন্তু পুলিশ সাধারন মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলার শুনানিতে পুলিশকে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করতে বলল হাই কোর্ট।

প্রসঙ্গত মদ্যপান করে গাড়ি চালালে জরিমানা ও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করাতে পারে পুলিশ। ছয় মাস থেকে দু বছরের জেল হতে পারে। ভারতীয় ট্র্যাফিক আইনের ১৮৫ ধরায় বলা রয়েছে যদি ১০০ গ্রাম রক্তে ৩০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত অ্যালকোহল থাকে তবে সেটা দণ্ডনীয় নয়। সকল গাড়ি চালকদের জন্য এই এক নিয়ম। প্রথম বার কেউ অতিরিক্ত মদ্যপান করে গাড়ি চালালে সাজা ও জরিমানা কম। দু’হাজার টাকা এবং ছ’মাসের কারাবাস। কিন্তু একাধিক বার হয়ে গেলে জরিমানা তিন হাজার টাকা। কারাদণ্ড হতে পারে দু’বছর পর্যন্ত।