বাংলাদেশের ঘটনায় দিনহাটায় খোল-করতাল নিয়ে পথে প্রতিবাদে সনাতনীরা

isckon


দিনহাটা: 


বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, বাংলাদেশী হিন্দুদের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং তাকে নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে দিনহাটা মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিল ইসকন, গৌড়ীয় মঠ, প্রপন্না আশ্রম, রামকৃষ্ণ মিশন, কালাচাঁদ মন্দির এর ভক্তবৃন্দ । আয়োজন এবং প্রচারের দায়িত্বে ছিল 'সনাতনী ফাউন্ডেশন' । 

সোমবার রীতিমত খোল করতাল নিয়ে কীর্তন করে এই ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা নিতাই সাহা, মৌমিতা পাল ভট্টাচার্য প্রমূখ।

এদিন এই ডেপুটেশন দেবার সময় সংগঠনের কর্মকর্তাগণ বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চলছে। একের পর এক মন্দির ধ্বংস থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের উপর যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। পাশাপাশি সেখানকার হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের বর্তমান শাসকেরা। তার উপর নানাভাবে অত্যাচার হচ্ছে। আদালতে তার পক্ষ হয়ে কোন আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। সারা বাংলাদেশ জুড়ে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের রাজ্য সহ সারা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কাজেই আমাদের দাবি অবিলম্বে বাংলাদেশের শান্তি ফিরে আসুক এবং সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়া হোক। পাশাপাশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে অকথ্য অত্যাচার শুরু হয়েছে সেগুলি বন্ধ হোক।

এদিন এই ডেপুটেশন দেবার সময় সমস্যাগুলি নিয়ে মহকুমা শাসকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। সমস্যাগুলির নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা শাসক এমনটাই সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

এদিন ডেপুটেশন দেবার আগে দিনহাটা সংহতি ময়দান থেকে রীতিমত খোল করতাল নিয়ে কীর্তন করে মানুষ দিনহাটা মহকুমা শাসকের দপ্তর চত্বরে জমায়েত হয়। সেখানে বেশ কিছু সময় কীর্তন চলার পর মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।