হাজিরা দিতে তখন ভেতরে দুই, আর বাইরে গেটে দাঁড়িয়ে শত শত চিকিৎসক ! 

lalbazar police
photo source: the telegraph



সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দুই চিকিৎসক ডা. কুণাল সরকার এবং ডা. সুবর্ণ গোস্বামীকে তলব করেছিলো কলকাতা পুলিশ। বিকাল ৪ টা নাগাদ লালবাজারে হাজিরা দিতে হাজির হন এই দুই চিকিৎসক। ঘন্টা খানেক থাকবার পর বেরিয়ে আসেন।

কিন্তু এই দুই কৃতী চিকিৎসক যখন লালবাজারে যান তখন শয়ে শয়ে চিকিৎসক লালবাজারের সামনে মিছিল করে পৌঁছে যান। ভেতরে দুই চিকিৎসক, আর বাইরে শয়ে শয়ে । এমন অবস্থা এই রাজ্যে এর আগে কেউ দেখেছেন বলে মনে করতে পারেননা।

লালবাজারের গেটের বাইরে শুধু চিকিৎসকরাই জমায়েত করেননি, তাদের সাথে ছিলেন বহু আইনজীবীও। যদিও চিকিৎসকদের এই অভিযানের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অবশেষে বেলা সাড়ে চারটে নাগাদ দুই চিকিৎসকই লালবাজার থেকে বেরিয়ে আসেন।

কুনাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভুল পোস্ট করে বিভ্রান্তি ছড়ালে পুলিশ চিকিৎসককে ডাকতে পারবে না। বেসরকারি হাসপাতালে বিপুল টাকায় অপারেশনের পর ভেতরে থেকে যায় গজ। সরকারি হাসপাতালে এনে আবার অপারেশনে প্রাণ বাঁচে। সেই চিকিৎসক গ্রেপ্তার হননি কেন? মিডিয়ার প্রমোট করা তৃণমূলবিরোধী বলে? নাগরিকসমাজ কী বলেন?’

মূলত এদিন আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলায় মৃতার পরিচয় প্রকাশ ও সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এই দুই চিকিৎসকদের তলব করে লালবাজার পুলিস। অপরদিকে এরই প্রতিবাদে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে লালবাজার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় চিকিৎসকরা।

মাঝপথে মিছিল আটকে দেওয়া হয়। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লালবাজারের সামনে মিছিল আরও বড় হতে থাকে। চিকিৎসকদের সাথে তখন যোগ দেন আইনজীবিরাও। তাঁরা চিকিৎসকদের আইনি সহায়তা করতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর পুলিস ও আন্দলনকারীদের মধ্যে তুমুল বচসা বাঁধে। অবশেষে পাঁচ আইনজীবীকে লালবাজারের ভিতরে ঢুকতে দিতে রাজি হয় পুলিশ।