এলাকার একমাত্র বিদ্যালয় তলিয়ে গেছে তিস্তার জলে

school



আজ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহিরচরে কানাইনগর পাড়ায় তিস্তা নদীর স্রোতে তলিয়ে যাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন সদর সাউথ এসআই রতন বর্মন।

এদিন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরিপদ রায়, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রতন বর্মন এবং সদর বিডিও অফিসের কর্মী কালাচাঁদ দাস লাইফ জ্যাকেট পড়ে নৌকাযোগে কানাইনগর পাড়া এসে পৌঁছান। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রতন বর্মন বলেন বিদ্যালয় যেখানে ছিল সেখানে বর্তমানে নদী । তাই দেখছি কি করা যায় এবং বিষয়টি হাই অথরিটিকে জানাবো ।

তিনি আরও জানান- বর্তমানে ওই স্কুলের শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছাকাছি কোন স্কুলে শিফট করানো হবে।

এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান জিতেন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন 'আমি বারবার চেষ্টা করছি চরকে বাঁচাতে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য । তিনি আরো বলেন এই এলাকায় শিক্ষার আলো বিস্তারে পুনরায় চড়ে বিদ্যালয় নির্মাণ করা প্রয়োজন। এলাকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।। তাই পুনরায় বিদ্যালয়ের নির্মাণের দাবী রাখছেন তিনি।

বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক বিকাশ সরকার বলেন তিস্তা নদীর চর এলাকায় দরিদ্র শ্রমজীবি এবং মেহনতী মানুষরা বসবাস করে থাকেন মূলত । তাদের শিক্ষা দীক্ষার একমাত্র অবলম্বন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।কিন্তু সেটিও নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে । তাই সরকার অবিলম্বে সেখানে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করে দিলে দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা পুনরায় শিক্ষার আলোতে বহাল থাকতে পারবে।

তিনি আরো বলেন ওখানে পুনরায় বিদ্যালয় স্থাপন করা হলে ওই এলাকার পড়ুয়ারা আগামী দিনে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে অনেকটাই স্বাবলম্বি হবে বলে মনে করি।