Kanchanjunga Express Accident: অবশেষে জমা পড়লো কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার রিপোর্ট, কী বলা হয়েছে তাতে?
গত ১৭ জুন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের অদূরে রানিরহাট স্টেশন পার করেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস (Kanchanjungha Express) ও মালবাহি ট্রেনের। , যার জেরে মৃত্যু হয় ১১ জনের, আহত হন বহু যাত্রী। প্রায় মাসখানেক পর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সেই দুর্ঘটনায় রিপোর্ট জমা পড়ল। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্টে একাধিক গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১৭ জুন, নিউ জলপাইগুড়ির কাছে রাঙাপানি স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjungha Express)। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে একাধিক গাফিলতির কথা উঠে আসে। একদিকে যেমন চালকের উদাসীনতার অভিযোগ ওঠে। সিগন্যাল ঠিকমতো নজর না করায় দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে চালকের ঘাড়ে দায় ঠেলে দিয়েছিল রেল। তবে এবার সরেজমিনে তদন্তের পর কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্টে একাধিক ত্রুটি ধরা পড়লো।
বলা হচ্ছে, সিগন্যাল সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন না চালক। পেপার মেমো পাওয়ার পর সিগন্যালের (Signal) ত্রুটি বুঝতে না পেরে কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchanjungha Express) চালক ওই লাইনেই ট্রেনটিকে নিয়ে যান। ফলে মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা অবধারিত ছিল। ট্রেন চালনা সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্য না থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ওইদিন ত্রুটিপূর্ণ সিগন্যালের (Defective Signal) কারণে একই লাইনে অন্তত ৫টি ট্রেন ঢুকে পড়ত, যাতে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। ট্রেনের গতিতেও সমস্যা ছিল। মালগাড়ির গতি ১৫ কিলোমিটার ছিল না বলেই তদন্তে জানা গিয়েছে।
CRS-এর (Commissioner of Railway Safety) রিপোর্টে অটোমেটিক সিগন্যাল নিয়ে সব চালককে ঠিকমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি তা স্বীকার করে নিয়েছে। তাই বেশ কিছু সিগন্যাল নিয়ে সন্দিহান ছিলেন চালকরা, অনেক কিছু ঠিকমতো বুঝতেও পারেননি। বলা হচ্ছে, অটোমেটিক সিগন্যাল কাজ না করলে বিকল্প পথে ট্রেনযাত্রার জন্য তিনটি উপায় বলা আছে। কিন্তু তা ঠিকমতো বুঝতে না পারায় তিনটির একটিও প্রয়োগ করেন না কোনও চালক।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊