কোচবিহারের ৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো তৃণমূল কংগ্রেস
জেলার ৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো তৃণমূল কংগ্রেস। মূলত লোকসভা নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এই বহিস্কৃত পাঁচ নেতা হলেন, মুজিবুল হক, প্রাক্তন প্রধান, সুটকাবাড়ি অঞ্চল (কোচবিহার-১ নং ব্লক), মোস্তফা আলী মিয়া, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, হাড়িভাঙ্গা অঞ্চল (কোচবিহার-১ নং ব্লক), জলধর বর্মন, ৩/১৩৪ নং বুথের বুথ সভাপতি (কোচবিহার-২ নং ব্লক), অমরেশ বর্মন (অপু), ঢান্ডিংগুড়ি অঞ্চল (কোচবিহার-২ নং ব্লক), জাকির হোসেন, টাকারগাছ- রাজারহাট অঞ্চল (কোচবিহার-২ নং ব্লক)।
দলের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুজিবুল হক ও মোস্তফা আলী মিয়া ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে ভোট করিয়েছেন। সেইসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কাছ থেকে বিভিন্ন বুথের জন্য বুধ খরচের টাকাও নেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
জলধর বর্মন এবং অমরেশ বর্মন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহার ২ নং ব্লকের অন্তর্গত ঢাল্ডিংগুড়ি অঞ্চলের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থীকে সহযোগিতা করে সেইসঙ্গে কর্মী নেতৃত্বদের সর্বদা হুমকি প্রদর্শন করে এবং সর্বদাই অভব্য আচরণের করে। ৪ নং ব্যক্তি কিছুদিন আগে অঞ্চলের শিক্ষক নেতাকে বেধরক মারধর করে। তার এহেনও কাজে দলীয় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়। এমনটাই জানানো হয়েছে সেই বিবৃতিতে।
জাকির হোসেন কোচবিহার দুই নাম্বার ব্লকের অন্তর্গত টাকারগাছ- রাজারহাট অঞ্চলের সাধারণ সভার পূর্বে জেলা সভাপতি যাওয়ার প্রাক মুহূর্তে অঞ্চল সভাপতি শ্রী নীরেন রায়ের সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় অবভ্য আচরণ করে, তার এই আচরণে অঞ্চলে দলীয় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
আরও জানানো হয়েছে এই সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ এলাকা গত ভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে খতিয়ে দেখেছে জেলা তৃণমূল এবং প্রমাণিত হয়েছে এদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ সত্য। এই কারণে উক্ত পাঁচজন ব্যক্তিকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জেলা তৃণমূল।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊