বোনের খুনের শাস্তি চেয়ে সাইকেলে রাজ্যপালের কাছে রওনা ভাইয়ের
দুর্গাপুর :
এ লজ্জা কার? দুর্গাপুর থেকে রাজভবন। বোনের খুনির শাস্তি চেয়ে এবার সাইকেল করে দুর্গাপুর থেকে রাজ্যপালের কাছে দুর্গাপুরের প্রসেনজিত স্বর্ণকার। পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েও,আজও অধরা বোনের স্বামী, সন্দেহভাজনের নাম থানায় দিলেও সেও বুক ফুলিয়ে ঘুরছে শহরে।আজও খোঁজ পায়নি ভাগ্নে- ভাগ্নির। প্রসেনজিত কি সুবিচার পাবে না?
বছর দুয়েক আগে বোন খুন হয়েছে, খোঁজ মেলেনি দুই ভাগ্নে ভাগ্নির। প্রশাসনের সব স্তর থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সবার কাছে সুবিচারের আর্জি জানিয়েছে পরিবার। আজও অধরা বোনের স্বামী, খোঁজ মেলেনি ভাগ্নে ভাগ্নির। সুবিচারের আশায় এবার আজ দুর্গাপুর থেকে রাজ্যপালের কাছে সাইকেল চেপে রওনা দিলো প্রসেনজিৎ স্বর্ণকার।
প্রায় বছর দুয়েক আগে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত অঙ্গদপুর এলাকায় উমার বাড়ি থেকে পচা গলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ, ঘটনার আগের দিন থেকে মৃতা উমার স্বামী পলাতক,পড়শিরা সেইদিন ফোন করে উমার পরিবারকে জানায় এই দুর্ঘটনার কথা।
প্রেমের কারনে বাবা মায়ের অমতেই দুর্গাপুরের রফিক আলমের সাথে বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হন উমা, দুই শিশু সন্তান ছিল উমার, আজও খোঁজ মেলেনি এই দুই শিশুর। পরিবারের সন্দেহ অঙ্গদপুর এলাকার দিদির বাড়ির এক পড়শী ছোটে লাল ও তার স্ত্রী সব জানতো এই ব্যাপারে, কিন্তু পুলিশকে জানানোর পর ঐ দু একবার ডাকাডাকি করার পর কোকওভেন থানার পুলিশ আর কিছুই করেনি। এদেরকে চাপ দিয়ে সব সত্যি বের করার যেতো, এমনকি উমার স্বামী কোথায় সেটা জানতেও পুলিশের গড়িমসি ছিল অনেক। মহকুমা প্রশাসন থেকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের সর্বোচ্চ স্তর সব জায়গায় জানিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি, এরপর আদালত, পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সুবিচার চেয়ে লিখিত আর্জি জানান উমার পরিবার। কিন্তু কোথায় কি??? আজও অধরা উমার স্বামী রফিক আলম, বুক ফুলিয়ে ঘুরছে ছোটে লাল যে কিনা সন্দেহের তালিকায় পরিবারের।
টাকা পয়সা দিয়ে এম. ডি ছোটে লাল এফআইআর থেকে তার নাম বাদ করে দেওয়ার টোপ দেয় এই পরিবারকে, কিন্তু এই লোভে আর পড়েনি এই অসহায় পরিবার। শেষ পর্যন্ত বিচার না পেয়ে এবার দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার এল. বি টাইপের নিজের বাড়ি থেকে বোনের খুনের সুবিচার চাইতে সাইকেলে করে কলকাতার রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে রওনা দিলেন উমার দাদা প্রসেনজিত স্বর্ণকার। সমস্ত নথি নিয়ে রাজভবনের উদ্যেশে রওনা দিলেন প্রসেনজিৎ, আর্জি বোনের খুনির শাস্তি, আর দুই ভাগ্নে ভাগ্নির খোঁজ পাওয়া।
মেয়ের শোকে ব্রেন স্ট্রোকে অসুস্থ উমার বাবা, এক চোখে দৃষ্টিও হারিয়েছে। মায়ের চোখের জল আজ শুকিয়ে গেছে সুবিচারের আশায় থাকতে থাকতে, মেয়ে গেছে এবার ছেলের ওপর কোনো আঁচ আসবে না তো? এই আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে গোটা পরিবারের।
এখনো ভয় একটা আছে, সাইকেল রাজভবন পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে তো প্রসেনজিৎ ? পুলিশের ব্যার্থতা ঢাকতে সেই সাইকেল আটকে দেওয়া হবে না তো মাঝ পথে??? তবুও মনের অদম্য ইচ্ছে শক্তির জোরে এক দাদা বোনের খুনের বিচারের আশায় সব প্রতিকূলতাকে জয় করে পৌঁছতে চাইছে রাজ্যপালের কাছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊