পুজোর আগে মহিলাদের স্বনির্ভর করতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিলি হল মুরগির বাচ্চা

Burdwan



সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-

পূজোর মুখে গ্ৰামের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো রায়না ২ ব্লকের গোতান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২৮০ জন মহিলাদের দশটি করে দেওয়া হয় মুরগির বাচ্চা।যা পেয়ে খুশি এলাকার মহিলারা।

প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে নেওয়া হয় এই ধরনের কর্মসূচি।

পশ্চিমবঙ্গে ডিমের চাহিদা ব্যাপক। একই সঙ্গে চাহিদা মুরগির মাংসেরও। ডিমের জন্য অনেকাংশেই অন্ধ্রপ্রদেশের উপর নির্ভর করতে হয় বাংলাকে। সেই নির্ভরতা কাটাতে আগেই উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি জেলাকে ডিম এবং মাংস উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের পক্ষ্য থেকেও উদ্যোগ গ্ৰহন করা হয়েছে। সে ব্যাপারে প্রাণী পালকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে নানাভাবে।

যাতে রাজ্যের বাইরের অন্য কোনও রাজ্য থেকে ডিম আনতে না হয়। এবং সুলভ মূল্যে যাতে রাজ্যের মানুষ নিত্যদিন ডিম পাতে পান তা নিশ্চিত করতেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ। ডিমের পাশাপাশি মাংসের চাহিদাও ব্যাপক রয়েছে রাজ্যে। তাই ডিম এবং মাংস উৎপাদনে যাতে কোন ঘাটতি না থাকে, এবং সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে সেদিকেই লক্ষ্য রেখে

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আজ পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না ২ ব্লকের গোতান গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৮০ জন মহিলাদের দেওয়া হয় ১০টি করে মুরগির বাচ্চা।গ্ৰাম পঞ্চায়েত থেকে মুরগীর বাচ্চা পেয়ে খুশি মহিলারা।

গৌতাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আরফিন খাতুন বলেন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এবং গ্রামের ছোট ছোট শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য দিতে বছরে দুবার করে হাঁস মুরগি গরু ছাগলের বাচ্চা দেওয়া হয়। যা পালন করে গ্রামের মহিলারা স্বনির্ভরের পাশাপাশি নিজেরা এবং বাড়ির পরিবারের পুষ্টি জোগাড় করতে পারবেন।আজ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৮০ জন মহিলাকে দশটি করে মুরগির বাচ্চা দেওয়া হল।এই বাচ্চাগুলো ছমাস পর থেকেই ডিম দেওয়া শুরু করবে।মাসে অন্তত ২৪টি করে ডিম দেবে বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান আরফিন খাতুন।




পঞ্চায়েতে প্রাণী মৃদ্ধারা বলেন মুরগির বাচ্চা দেওয়ার সাথে সাথেই তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।এবং প্রতি মাসে প্রাণী পালকদের বাড়িতে গিয়ে বাচ্চা গুলোকে ভ্যাকসিন ও নানা রকম ওষুধ দেওয়া হয় এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।