কোচবিহারে বিজেপির লাগাতার ভাঙন রুখতে এবার ময়দানে শুভেন্দু, পাল্টা জবাব রবীন্দ্রনাথের

suvendu



কোচবিহার:

লাগাতার ভাঙন রুখতে এবার ময়দানে শুভেন্দু। কোচবিহারে পরাজয় মানতে পারেনি বিজেপি। গোটা দেশের নিরিখে অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী ছিল প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কোচবিহারের আসন থেকে। প্রায় ৪০ হাজার ভোটে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় তাকে। তারপর থেকেই লাগাতার বিজেপি শিবিরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

এক এক করে অঞ্চল, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির। তাই শেষমেষ ময়দানে নামতে বাধ্য হলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কোচবিহার জেলা বিজেপি কার্যালয় এক বিশেষ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে নিশীথের সাথে উপস্থিত ছিল বিধায়ক মিহির গোস্বামী, সুকুমার রায় সহ অন্যান্যরা।

নিজের বক্তব্যে এদিন শুভেন্দু স্বীকার করে নেন ২০২১ এর তুলনায় নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস অনেকটাই কম হয়েছে কোচবিহারে। সেই জায়গায় চলছে যোগদান পর্ব। তিনি কর্মীদের কাছে পরিষ্কারভাবে জানান, দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গ একটু আলাদা। পশ্চিমবঙ্গে বিধায়কদের বিশেষ কোনো ক্ষমতা নেই বিশেষ করে বিজেপি বিধায়কদের। সুতরাং সবরকম সুযোগ-সুবিধা তারা দিতে পারবেন না। এমত পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও পরিস্থিতি বাঁচিয়ে চলতে হবে তাদের। পাশাপাশি দল আলোচনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই যারা আহত এবং আক্রান্ত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। এখনো জেলা বিজেপি কার্যালয়ে প্রচুর কর্মী সমর্থক রয়েছেন বিশেষ করে রাজবংশী এবং সনাতনী যারা রয়েছেন তাদের উপরে অত্যাচার করছে তৃণমূল কংগ্রেসের হার্মাদরা বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শুভেন্দু অধিকারীর কথার পাল্টা জবাব দেন কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন মানুষ একবার জাগ্রত হয়ে গেলে সেখানে কোন নেতার মিথ্যে বুলির কোন ঠাঁই নেই। এর আগেও তিনি কোচবিহারে এসেছিলেন, পরবর্তীতে ও আসবেন, ঠান্ডা শীতল কোচবিহার ঘুরে যান। মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা ঢোকানোর চেষ্টা করা বৃথা। রাজবংশী, হিন্দু, সনাতনী সকলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সাথে রয়েছে। সুতরাং ভাওতাবাজির সরকার আর বেশিদিন টিকবে না। কেন্দ্রে নিজেদের জমি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করুক বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন বুঝে নেবে।