বোতল বন্দি নয়, চোখের সামনেই তৈরি হচ্ছে সোডা

Malda



মালদহ:

বোতল বন্দি সোডা নয়, আপনার সামনেই জল থেকে তৈরি করা হবে সোডা। সেই সোডা দিয়ে তৈরি হচ্ছে নিম্বু পানি। মালদহে একমাত্র এই নিম্বু পানির দোকান ভ্রাম্যমাণ। প্রচন্ড গরমে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে টাটকা সোডার এই নেম্বু পানি বিক্রি করছেন বিক্রেতা। চোখের সামনে সোডা তৈরি করা হচ্ছে। সেই সোডায় বরফ, লেবু রস মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে নেম্বু পানি। প্রচন্ড গরম থেকে তৃপ্তি পেতে মানুষ ভিড় করছেন এই নেম্বু পানির দোকানে।

বিক্রেতা অনুপ সিংহ। সোডা তৈরির এই মেশিন কিনে এনেছেন রাজস্থান থেকে। এই মেশিনে একসঙ্গে তিন বোতল সোডা তৈরি করা যায়। বোতলে পরিষ্কার জল ভরে মেশিনে দিয়ে দিচ্ছেন। কার্বন ডাই-অক্সাইড সিলিন্ডারের সঙ্গে মেশিনের সংযোগ রয়েছে। বিশেষ পদ্ধতিতে মেশিনের সাহায্যে বোতল ঘোরানো হচ্ছে। কয়েক মিনিট ঘুরিয়েই জলের সঙ্গে কার্বন ডাই-অক্সাইড মিশে দ্রুত তৈরি হচ্ছে সোডা। সেই সোডা বার করে সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে নিম্বু পানি।সোডার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে বরফ, চিনি ও লেবুর রস। এছাড়াও স্বাদের জন্য চাট মশলা দেওয়া হচ্ছে।

প্রচন্ড গরমে ১০ টাকা ও ২০ টাকা গ্লাস করে বিক্রি হচ্ছে এই টাটকা সোডার নিম্বু পানি। ভাল রোজগার হচ্ছে বিক্রেতার। কারণ সমস্ত কিছুই তৈরি করা হচ্ছে চোখের সামনে। তাই মানুষ এই ঠান্ডা পানিয় কিনে খাচ্ছেন। অন্যান্য ঠান্ডা পানীয় বা নেম্বু পানীর দোকানের থেকে এই বিক্রেতার ফারাক অনেকটাই। প্রায় প্রত্যেকেই বোতলবন্দী সোডা দিয়ে তৈরি করে থাকেন ঠান্ডা পানিও। ব্যতিক্রমী এই দোকান। যদিও এই সোডা তৈরীর মেশিন বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে তাঁকে। সোডা তৈরীর মেশিন সহ গাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় দুই লক্ষ টাকা। রোজগার ভাল হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা রোজগার করছেন তিনি নিম্বু পানি বিক্রি করেই। স্থায়ী কোন দোকান নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন। মূলত জেলার বিভিন্ন হাট, বাজার ও মেলায় তিনি এই নেম্বু পানি বিক্রি করে আসছেন।