অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ

Maynaguri news


আট মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কীটনাশক খাইয়ে প্রাণে মারার অভিযোগের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার ময়নাগুড়ি থানায় বিক্ষোভ দেখালেন মৃত গৃহবধুর বাপের বাড়ির আত্মীয় স্বজনরা। এদিন ময়নাগুড়ি থানায় প্ল্যাকার্ড হাতে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর থানার আইসির সাথে দেখা করেন তারা। ঘটনায় অভিযুক্তদের সাতদিনের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।




উল্লেখ্য, গত ৩১ মে ময়নাগুড়ি ব্লকের উল্লাডাবরি এলাকায় তহমিনা বেগম (২৬) নামের এক আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে খাবারের মধ্যে কীটনাশক দিয়ে প্রাণে মারার অভিযোগ ওঠে তার শ্বশুর শাশুড়ি সহ স্বামীর বিরুদ্ধে। এই তিনজন বাদেও নাম জড়ায় আরও দুইজনের বিরুদ্ধে। এদিকে ঘটনার একদিন পরেই কন্যার শোকে মৃত্যু হয় তার বাবা এনামুল হকের। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনায় জড়িত তিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু বাকি দুইজনের কোনো সন্ধান এখনো পাননি পুলিশ। এদিকে ঘটনার প্রায় মাস খানেক হতে চললেও বাকি অভিযুক্তদের কেন পুলিশ ধরতে পারলো না তা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃত গৃহবধুর পরিবার। 



রীতিমতো বুধবার ময়নাগুড়ি থানায় জমায়েত হয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান। তারা জানান, আগামী সাতদিনের মধ্যে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এই বিষয়ে মৃত গৃহবধুর দিদি ইরফানা বেগম বলেন, " আমার বোনকে খাবারের মধ্যে বিষ মিশিয়ে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার প্রায় মাসখানেক হতে যাচ্ছে কিন্তু এখনো তিনজন অধরা। তাদের দ্রুত যদি পুলিশ গ্রেফতার না করে তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।" 


মৃতার কাকা মনিউল ইসলাম বলেন, " ভাস্তির মৃত্যুর ঘটনার পর তার শোকে আমার দাদাও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাই। এখনো তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। আমরা পুলিশকে সাতদিন সময় দিচ্ছি, এই সাতদিনের মধ্যে যদি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে না পারে তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।" 


এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, " ঘটনার তদন্তে নেমে তিনজন মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ।"