সাধারণের হাতের বাইরে বাংলাদেশের ইলিশ! চড়া বাজার জামাইষষ্ঠীতে
কোচবিহার:
জামাই ষষ্ঠী এবং বাংলাদেশের ইলিশ ওতপ্রোতভাবে একে অপরের সাথে জড়িত। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির মতো জেলাগুলিতে। এখানে শ্বশুর মশাইদের প্রথম টার্গেট থাকে জামাই বাবাজির পাতে যেন অন্তত এক টুকরো ইলিশ দেওয়া যায়। সেই চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যৌথ উদ্যোগে এবার ইলিশের আমদানি প্রচুর। এছাড়াও রয়েছে ডায়মন্ড হারবার, নদীয়ার মাছ। স্থানীয় মাছ অর্থাৎ কাতল, বোরেলি, চিতল, বোয়াল এর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এবার ভবানীগঞ্জ মাছ বাজারে। কিন্তু সবদিক থেকেই টাকার অংকটা একটু হলেও বেশি বিগত বছরের তুলনায় বলে মনে করছেন ক্রেতারা। কোচবিহারের একজন নতুন শ্বশুরমশাই সন্তোষ চক্রবর্তী মন্তব্য করে বলেন, প্রথমবার জামাই আসছে। প্রথম জামাইষষ্ঠী, কিন্তু বাজার অগ্নিগর্ভ। কিছুটা তো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেই।
বাংলাদেশের ইলিশের আমদানি থাকলেও মুখে হাসি নেই শ্বশুর মশাইদের। শ্বশুরদের কপালে ভাঁজ। সাধারণের হাতের বাইরে এবারের বাংলাদেশের ইলিশ। এমনটাই জানাচ্ছেন কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নুর আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ইলিশ আমদানি হয়েছে কিন্তু এক কেজির ওপরে যে ইলিশ মাছ রয়েছে তার দাম আড়াই হাজার টাকার উপরে। এর থেকে ছোট সাইজের ইলিশ ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। একদম ছোট সাইজের ইলিশের দাম রয়েছে পনেরশো টাকা। এর কমে নেই। সুতরাং আমদানি বেশি থাকলেও সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের শ্বশুরদের পকেটে টান পড়তে চলেছে এবার ইলিশ কেনার ক্ষেত্রে।
শুধুমাত্র মাছ নয়, এবার দাম বেড়েছে সবজি এবং কলের। বিশেষ করে আম এবং কাঁঠালের দাম বেড়েছে অনেকটাই। সর্বোপরি অনেকটাই দাম বেড়েছে মিষ্টির। সবমিলিয়ে আগুন বাজার, জামাইষষ্ঠীতে কতটা রসনা তৃপ্তি হবে এটাই এখন দেখার।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊