WB SSC Case :
স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল আজ দেশের শীর্ষ আদালতে। শীর্ষ আদালতের দিকে তাঁকিয়ে ছিল চাকরি হারা থেকে শুরু গোটা বাংলা। 2 নম্বরে ছিল মামলা।
গতকাল ৩০ নাম্বারে লিস্টেড ছিলো , কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারনে এই মামলার শুনানি হয়নি। আজ ২ নাম্বারে ওঠে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্যানেল বাতিলের মামলা।
গত ২২ই এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের নিয়োগে শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করে। শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় এসএসসি। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয় আজ।
প্রথম শুনানিতে সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষনে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের রায়ে কোনো হস্তক্ষেপ করেননি বিচারপতি। তবে সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরিতে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে, সম্পূর্ন জালিয়াতি বলেই পর্যবেক্ষন করে সুপ্রিমকোর্ট। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ''বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এই অভিযোগ থাকারই পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?" এরপর আজ ছিল শুনানি।
এদিকে এসএসসি প্রথমে যোগ্য অযোগ্যদের নির্ধারন সম্ভব নয় বলে জানালেও পরে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার, যোগ্য অযোগ্যদের চিহ্নিত করে লিস্ট দিতে পারবেন বলে জানান। শেষমেষ আজ কোন দিকে গড়ায় জল সেদিকেই তাঁকিয়ে ছিল সকলেই।
WB SSC Case :
১১ টা ৩০ নাগাদ আজ শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতেই যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে কথা শুরু হয়। এরপর রাজ্য সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে কথা বলা শুরু করে।
প্যানেলে দুর্নীতি হয়েছে একথা স্বীকার করে নেয় রাজ্য, তবে সুপার নিউমেরারি পোস্টে রাজ্য সরকার কোন নিয়োগ করেনি, তাহলে রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে কেন সিবিআই তদন্ত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী বলেন- ৪ ক্যাটেগরিতে নিয়োগ হয়েছে। ১) ৯-১০ এসিস্ট্যান্ট টিচার, ২) ১১-১২ এসিস্ট্যান্ট টিচার,৩) গ্রুপ সি, এবং ৪) গ্রুপ ডি । প্রত্যেক ক্যাটাগরির জন্য আলাদা রিক্রুইটমেন্ট গ্যাজেট যা ২০১৮ তে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। আর কেস করা হয়েছে ২০২১ সালে। যে সময় এই প্যানেলের ভ্যালিডিটি শেষ হয়ে গেছে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে জানতে চান OMR ডাটা কেন SSC নিজের দায়িত্বে রাখেনি ।
২৪ হাজারের মধ্যে ৯ হাজার অযোগ্য একথা স্বীকার করে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীও। সিবিআই যে তথ্য তুলে দিয়েছে সেই তথ্য অনুসারেই যোগ্যদের আলাদা করবার কথা বার বার উল্লেখ করেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী।
দুপুর ১ টা পর্যন্ত শুনানি চলে, এরপর বিরতির পর আবার শুরু হয় শুনানি।
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান-টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে। বিরাট দুর্নীতি হয়েছে। নাইসা সংস্থাই উঠে গিয়েছে। ২৩ হাজার ১২৩ জনের চাকরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।
বিকাশের প্রতিক্রিয়া শুনে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ হলে সম্পূর্ণ প্যানেলই তো বাতিল হবে। পুরো বিষয়টি বিবেচনা করব। তার আগে কোনও শর্ত ছাড়া স্থগিতাদেশ নয়। যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই মূল লক্ষ্য।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের রায়-
- ১৬ জুলাই চূড়ান্ত রায়।
- সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে যোগ্য ও অযোগ্য যদি আলাদা করা সম্ভব হয় তবে পুরো প্যানেল বাতিল করা যথাযথ হবে না। সুপ্রিম কোর্ট এমনটাই মনে করছে।
- বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ। আপাতত তাদের টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে।
আসছে বিস্তারিত...
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊