২০ থেকে ২৫ পার্সেন্ট ছাড়ে ঔষধ ! নকলের সম্ভাবনা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ

medicine



সম্প্রতি ওয়েস্ট বেঙ্গল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন জলপাইগুড়ি শাখার পক্ষ থেকে জেলার সমস্ত খুচরো ওষুধ বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে এক নির্দেশিকা জারী করে অধীক মাত্রায় ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের কাছে ঔষধ বিক্রির প্রবণতা থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এর পরেই উঠছে ক্রেতাদের মধ্যে নানান প্রশ্ন থেকে আশঙ্কা। বিগত কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ি জেলা শহর সহ ছোটো গ্রামীন এলাকার ঔষধের দোকান গুলোতে কার্যত ডিসকাউন্টারের যেন প্রতিযোগিতা চলে আসছে।

কোথাও ২০ তো কোথাও ২৫ পার্সেন্ট ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে এমন বোর্ড, বিজ্ঞাপন চোখে পরেনি এমন মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে।

যদিও, এই ছাড়ের প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে ব্যাপক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঔষধ বিক্রেতাদের সংগঠন বি সি ডি এসের জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক সন্দীপ মিশ্র বলেন, ওষুধ তৈরি থেকে ক্রেতার হাতে যাওয়া পর্যন্ত সবটাই নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রিয় সরকারের একটি কমিটি, সেই মোতাবেক ঔষধ বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৬ পাসেন্ট মুনাফা থাকতে পারে, কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন দোকানে ২০-২৫ কথাও আবার ৩০ পার্সেন্ট ছাড়ের কথা বলে ক্রেতাদের আকর্ষিত করার চেষ্টা করছে।

এতেই সন্দেহ জাগে, যে পরিমাণ লাভ নেই তার বেশি ছার দেওয়ার মধ্যে একটি রহস্য থেকেই যাচ্ছে, তার ওপর বিভিন্ন জায়গা থেকে জাল এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধকে আবার রি-সিল মেরে বিক্রি করার অভিযোগ ও আমাদের কাছে এসেছ।

অপরদিকে শহরের ঔষধ ব্যবসায়ী সুদীপ দাসের সোজাসাপ্টা জবাব, আগে এই সব ছিলো না, আমরা যারা পুরোনো ব্যাবসায়ী তাদের ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ পাবেন না,

এই ছাড়ের প্রলোভন দেখিয়ে জাল ওষুধ ও সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি হচ্ছে বলে নানান জায়গায় শুনতে পাই এমনকি কখনো কখনো খবরের কাগজেও চোখে পরে এই ছাড়ের আড়ালে চলা ঔষধ ব্যাবসার কথা।