ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড গ্রাম, পাশে দাঁড়ালো GCPA
মধুসূদন রায়, ময়নাগুড়িঃ গত ৩১ শে মার্চ রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু এলাকায় তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়। এদিন ঘণ্টায় অন্তত ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঘরের চাল থেকে শুরু করে কাগজপত্র আসবাবপত্র সমস্ত কিছু উড়িয়ে নিয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়ে। পাকার বাড়ি পর্যন্ত দুমড়ে মুচড়ে লন্ডভন্ড। ঝড় পরবর্তী সময়ে দেখতে পাওয়া যায়, বাড়ির চিহ্ন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বেশ কিছু এলাকায়। এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাড়ির সমস্ত কিছু । খোয়া গিয়েছে টাকা পয়সা আসবাবপত্র, হারিয়েছে নিজের প্রিয় মানুষের প্রাণ। পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কাজে ঝাপিয়ে পড়েন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার্সরা।
এদিন ঝড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিও হয় বেশ কিছু এলাকা জুড়ে। ফলে জেলা জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি প্রচুর। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ময়নাগুড়ি ব্লকের ধর্মপুর, পুঁটিমারী, বার্নিশ এলাকায়। এলাকার শতাধিক বাড়ি ঝড়ের দাপটে চুরমার। জেলা জুড়ে প্রাণ হারান অন্তত পক্ষে ৪ জন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
ঘটনার খবর পেয়ে সেদিনই রাত ১টা নাগাদ জলপাইগুড়িতে পৌঁছান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তিনি মৃত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে রতেই দেখা করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিকে সরকারের পাশাপাশি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাথে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সমাজসেবীরা। যার যতটুকু সামর্থ্য সে ততটুকু দিয়েই সহযোগিতা করছেন অসহায় মানুষদের। আজ বৃহস্পতিবার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে প্রায় ১৫০ টি পরিবারের হাতে শুকনো খাবার হিসেবে- মুড়ি, বিস্কুট, আখের গুড় এবং পানীয় জলের বোতল বিতরণ করলেন দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের ময়নাগুড়ি ব্লক কমিটি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊