বিগ ব্রেকিং: দূর্নীতি ও সন্দেশখালির ভয়াবহতায় বাকরুদ্ধ তাপস, আজই পদত্যাগ বিধানসভায়

Tapas Roy



মনোজ কুমার বর্মন : 


২৪ এর লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক দৈন্য দশা যেন ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। কোন মতেই দলের অন্তর্কোন্দল থামাতে পারছে না দল।বিদ্রোহী কুনাল ঘোষ দলের মুখপাত্র এবং সম্পাদকের পদ ছাড়ার পরপরই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য তাপস রায়ের। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, আজই বিধানসভায় অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা করবেন বরানগরের প্রবীণ এই বিধায়ক। দলত্যাগের সিদ্ধান্তে তিনি যে অনড় সে কথাও তিনি স্বীকার করেন। 



প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কিছুদিন ধরেই তিনি উত্তর কলকাতার সংসদ মাননীয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে যাচ্ছিলেন । আর আজ সকাল বেলা ড্যামেজ কন্ট্রোলে ওনার বাড়িতে যান উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও কুনাল ঘোষ । ওনারা দলত্যাগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করলেও, তিনি যে আর কোনমতেই দলে ফিরবেন না সে কথাও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। 



তাপস বাবুর অভিযোগ, বিস্ময়করভাবেই কুনাল ঘোষ এবং ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ওনার কথাবার্তা চলাকালীনই সুব্রত বক্সীর শোকজ নোটিশ পান কুনাল ঘোষ।




অন্ততঃ স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৃণমূল কংগ্রেসের এই বলিষ্ঠ নেতা দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন। কিন্তু গত ১২ই জানুয়ারি, তার বাড়িতে ইডি অভিযানের পরে তার দলের অবস্থান তাকে যার-পরনায় ব্যথিত করে তুলেছে। তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এবছর ১২ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে যখন তার বাড়িতে বিডি অভিযান হয় তখন দলিল কিছু নেতা সেই ঘটনায় উল্লাস প্রকাশ করে। তার দল ছাড়ার কারণ হিসেবে তিনি যে দুটো মুখ্য কারণ উল্লেখ করেন, প্রথমত: তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং সন্দেশখালীর ভয়াবহতায় তিনি তাড়িত। দ্বিতীয়তঃ ওনার বাড়িতে ইডি অভিযানের পর মুখ্যমন্ত্রীর মৌনতা। 



সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্ধ করে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় শেখ শাহজাহানের মতো গুন্ডাদের নাম উল্লেখ করতে পারেন, কিন্তু ওনার উপর ইডি অভিযান চালালো কিন্তু তিনি বিধানসভায় একটি বাক্য খরচ করলেন না। এমনকি ঘটনার 52 দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি কিংবা তার পরিবারকে একটিবারের জন্যও তিনি সান্ত্বনা দেননি। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর তাপস রায় কোন দলে যোগ দেবেন সে বিষয়ে তিনি কিছু না বললেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা তিনি বিজেপিতেই যোগ দিতে পারেন।