পুলিস কর্মী হয়ে দাদার কাঁধে হাত রাখতে মরিয়া স্বপ্না


girl reads book



পড়া ছেড়ে ১০ বছর বয়স থেকে ভাই বোনকে নিয়ে সংসার সামলে যাচ্ছে দাদা, পুলিস হয়ে দাদার সপ্ন সফল করতে মরিয়া বন বস্তির স্বপ্না।

গরু মারা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত আর পাঁচটি বন বস্তির মধ্যে অন্যতম বুধুরাম বন বস্তি। সুবজ ঘেরা জঙ্গলের মাঝে মা, বাবা, ভাই বোনকে নিয়ে ভালোই কাটছিলো আকাশের শৈশব। তবে আচমকা বাবার অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং তার কিছু সময় পরেই মার সংসার ছেড়ে চলে যাওয়া যেন এক লহমায় আকাশকে মানসিক ভাবে শৈশব থেকে যুবককে পরিণত করে দেয়।

বন্ধ হয়ে যায় স্কুলের পড়া, নিজের বয়স সবে তখন দশ, ঘরে মা, বাবা হারানো খুদে ভাই বোন। পরিস্থিতিই যেন শক্তি যোগায় আকাশকে দু বেলা দু মুঠো খাবের জন্য যোগ দেয় বন বস্তিতে চলা বিভিন্ন কাজ কর্মে, সেই থেকেই শুরু লড়াই।

এত সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে চলা সদ্য ভোটার তালিকায় নাম ওঠা আকাশ ওরাওঁ মুখে একগাল হাসি নিয়ে বর্ণনা করে যায় জীবন সংগ্রামের এক কঠিন বাস্তব চিত্রের।

বন বস্তিতে যখন চলছে রঙের উৎসব সেই সময় বন বিভাগের গীতাঞ্জলি প্রকল্পের আওতায় পাওয়া মাথা গোঁজার স্থানটির একটি কোণে বসে ক্লাস নাইনের নোট খাতার পাতা ওল্টানো স্বপ্না ওরাও এর দৃশ্য ধরা পরে কামেরার লেন্সে।

আকাশের বোন স্বপ্না, জ্ঞান হবার পর থেকে যে দেখে যাচ্ছে নিজের পড়া বন্ধ করে দিনমজুরি করে মা বাবার ভূমিকা পালন করে সংসার চালিয়ে আসা দাদা কে। নিজেও উপলব্ধি করে এই কঠিন সংগ্রামের যন্ত্রণা।

সে কারণেই হয়তো বন বস্তিতে চলা হোলির উৎসবে অংশ না নিয়ে ভবিষ্যতে পুলিস কর্মী হয়ে দাদার কাঁধে হাত রাখতে মরিয়া স্বপ্না ওরাও।