বিজেপির নির্বাচনী ব্যানার ছেড়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

BJP


দক্ষিণ দিনাজপুর: 

লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বেজে গেছে। ইতিমধ্যে, সারা রাজ্যজুড়ে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে এবং তার দিনক্ষণও ঠিক হয়ে গেছে। পাশাপাশি সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ইতিমধ্যে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচিত করেছেন। এমত অবস্থায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ৬ নং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী তথা জেলার ভূমিপুত্র বিপ্লব মিত্র। ইতিমধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিজেপি ও তৃণমূল তাদের প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার পর্ব শুরু করে দিয়েছে জোরদার ভাবে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। আর এই মত অবস্থায় বিজেপির নির্বাচনী ব্যানার ছেড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 




চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের হাইরোডের পার্শ্ববর্তী এলাকায়।  এদিন সকালে ওই এলাকার বিজেপির কয়েকজন কর্মীরা দেখতে পান সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে নির্বাচনী ব্যানারটি সেখানে নেই। সাথে সাথেই পার্শ্ববর্তী এক দোকানের সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যায় কয়েকজন ব্যক্তি ব্যানারটি রাতে বেলা ছিড়ে ফেলছে। এই দৃশ্য দেখা মাত্রই অভিযোগের তীর যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শুক্রবার সরব হন বিজেপির গঙ্গারামপুর শহর সভাপতি বৃন্দাবন ঘোষ। 



তিনি অভিযোগ করে বলেন, "তৃণমূল বুঝে গেছে তার পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে তাই তারা ভয় পেয়ে গিয়ে এইসব কাজকর্ম করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু মানুষ তার যোগ্য জবাব দেবে ভোট দিয়ে"। 


অন্যদিকে গঙ্গারামপুর শহর তৃণমূল সভাপতি সুব্রত মুখার্জি বলেন, "এইসব বিজেপিরই কাজ তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করবার জন্য তাদের এই প্রচেষ্টা। এটা নতুন নয় দীর্ঘদিন ধরে এসব কাজ তারা করে আসছেন। আসলে বিজেপি জানে তারা একটাও ভোট পাবে না, কারণ মানুষ বিপ্লব মিত্রকে ভোট দিয়ে সংসদ হিসেবে দেখতে চাই দিল্লির মসনদে। তাই বিজেপির এইসব মনগড়া কথা মানুষ বিশ্বাস করবে না"। নির্বাচনের প্রাক্কালে গঙ্গারামপুর শহরে বিজেপির নির্বাচনী ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপির চাপানোতর চলছে।