VIDEO: বুমরার ব্রহ্মাস্ত্র' থেকে বাঁচতে পারেননি গুজরাটের ব্যাটসম্যান, স্টাম্প ভাঙা ইয়র্কার দেখে ভক্ত হয়ে গেলেন মালিঙ্গাও

ipl t 20



গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষ ম্যাচে, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রাণঘাতী পেসার জসপ্রিত বুমরাহ দুর্দান্ত বল করে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। বুমরাহ, যিনি 2022 সালের পর প্রথমবারের মতো একটি আইপিএল ম্যাচ খেলেছিলেন, একটি নির্ভুল ইয়র্কার বল ছুড়ে মৌসুমের প্রথম উইকেট তুলে নেন নিজের ঝুলিতে।

[ads id="ads1"]


ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ 2024-এর পঞ্চম ম্যাচটি গুজরাট টাইটানস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচে টস জিতে বোলিং বেছে নেন মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মুম্বাইয়ের ফাস্ট বোলার। তিনি তার ট্রেডমার্ক ইয়র্কার বল করে উইকেট উড়িয়ে দেন। তার নির্ভুল ইয়র্কারে গুজরাট টাইটান্সের ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান । তার দুর্দান্ত সাহস দেখে, ডাগআউটে বসে থাকা লাসিথ মালিঙ্গাকেও সাধুবাদ জানাতে দেখা গেছে।


টসে জিতে প্রথমে বোলিং করতে আসা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলাররা প্রথম তিন ওভারে কোনো সাফল্য পাননি। হার্দিক পান্ডিয়া 2 ওভারে 20 রান দিয়েছিলেন। তিন ওভার পর গুজরাটের স্কোর ২৭ রান ছাড়ায়। ইনিংসের চতুর্থ ওভার এবং তার প্রথম ওভার নিয়ে আসা বুমরাহ, শেষ বলে নির্ভুল ইয়র্কার করেন, ঋদ্ধিমান সাহাকে আউট করেন এবং দলকে প্রথম ব্রেক-থ্রু দেন। আইপিএল তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট করেছে, যা এখন রিতিমত ভাইরাল।


এই ম্যাচে বুমরাহ ৩ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন। ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া জেরাল্ড কোয়েটজি ৪ ওভারের স্পেলে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। যেখানে পীযূষ চাওলা পান ১ উইকেট। এগুলো ছাড়া দলের কোনো বোলার উইকেট নিতে সফল হননি। হার্দিক পান্ডিয়া ৩ ওভারে ৩০ রান দেন কোনো উইকেট না নিয়ে।

[ads id="ads2"]


এই ম্যাচে গুজরাট টাইটান্স টস হেরে ব্যাট করতে নেমে 20 ওভারে 168 রান করে। ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা (১৯ রান) ও শুভমান গিল (৩১ রান) বিশেষ কিছু করতে পারেননি। সাই সুদর্শন মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন এবং 39 বলে 45 রানের ইনিংস করেন। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। এগুলো ছাড়া দলের কোনো ব্যাটসম্যানই বড় রান করতে সফল হননি। আজমতুল্লাহ ওমরজাই (১৭ রান) ও ডেভিড মিলার (১২ রান)ও প্যাভিলিয়নে ফেরেন। যেখানে রাহুল তেওয়াতিয়া 22 রান করে আউট হন। অপরাজিত থাকেন বিজয় শঙ্কর (৬ রান) ও রশিদ খান (৪ রান)।