সোনার দোকানে ছিনতাই এর ঘটনায় বড় সাফল্য হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ

Malda police



বাংলা বিহার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বর্ণকারের গাড়ি আটকে ছিনতাই - এ অভিযুক্ত দুই জন দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ প্রশাসন।তাদের বাড়ি বিহারের কাঠিহার জেলার আবাদপুর থানার অন্তর্গত বেলুয়া এলাকায়।



উল্লেখ্য চলতি মাসের 6 তারিখে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ স্বর্ণকার কোমল ঠাকুর বাইক নিয়ে সোনার দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কুশীদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেটুলচক - বিঝট এর মধ্যবর্তী এলাকাই হঠাৎ একদল দুষ্কৃতী আক্রমণ করে। জোর করে ক্যাশ ও কিছু সামগ্রী ছিনিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। তারপর বাংলা বিহারের সীমান্তবর্তী একাধিক এলকাই তল্লাশী চালায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অবশেষে ঘটনার ১৫ দিন পর বিহারের কাঠিহার জেলার আবাদপুর থানার অন্তর্গত বেলুয়া গ্রাম থেকে ওই ঘটনায় দুই জন দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।



গ্রেপ্তার করার পর দুই জন দুষ্কৃতিকে চাঁচল মহকুমা আদলতে পেশ করা হলে তদন্তের স্বার্থে আদালত ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় বলে জানা যায় । এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে চাঁচল মহকুমার এসডিপিও সোমনাথ সাহা জানান ধৃতদের গ্রেপ্তার করার পর ১.২৫ ভরি সোনা, ১২ ভরি চাঁদি,২৫ হাজার টাকা ক্যাশ ও একটি লাল রঙের অ্যাপাচি বাইক ও একটি মোবাইল উদ্ধার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তাছাড়াও তারা যে দোকানে সোনার ও চাঁদির অলঙ্কার গুলো বিক্রি করেছিল সেগুলিও উদ্ধার হয় এবং সেই দোকানদারদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই কেশ টির আই ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ আধিকারিক এ এস আই জাকির হোসেন খুব দক্ষতার কাজ করেছে বলেও জানান তিনি। বিহার সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে আরও সিকিউরিটি বাড়ানো হয়েছে, পুলিশ পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে, কয়েকদিন পূর্বেই চুরি ছিনতাই সহ দুষ্কৃতি মূলক কাজকর্ম বন্ধ করার জন্য বিহার পুলিশকে নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়েছে বলেও জানান এসডিপিও সোমনাথ সাহা।