অবশেষে মাধ্যমিক প্রশ্নফাঁস কান্ডের গ্রুপ অ্যাডমিন সহ ধৃত ১২, গ্রুপে রয়েছে ১৬১ জন সদস্য

madhyamik whatsapp group


মাধ্যমিকে (Madhyamik 2024) প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এবার শুরু থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলো পর্ষদ, প্রশ্নপত্রেও নিয়ে এসেছে আধুনিক প্রযুক্তি। যার দরুন প্রথম দিন বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সাথে সাথে দুজন পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্বিতীয় দিনেও ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটার সাথে সাথে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে 'কেঁচো খুরতে কেউটে' পেলো পর্ষদ।


জানাগেছে, স্যোসাল মিডিয়ায় গ্রুপ খুলে মাধ্যমিকের (Madhyamik 2024) ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শনিবার। ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জন আবার ওই সমাজমাধ্যম গ্রুপের ‘অ্যাডমিন’ও।


শুক্রবার মাধ্যমিকের (Madhyamik 2024) বাংলা পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় শনিবার, ইংরেজি পরীক্ষার দিনেও। পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে সমাজমাধ্যমে প্রশ্নপত্রের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।


শুক্রবার প্রশ্ন ফাঁসে যে দুই পরীক্ষার্থীর নাম জড়িয়েছিল, তারা মালদহের। শনিবারও ধরা পড়া ১২ জনের মধ্যে ১১ জন ওই জেলার। পর্ষদ জানতে পেরেছে, মালদহের এনায়েতপুর হাই স্কুল থেকে ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। ওই স্কুলে সিট পড়েছিল গোপালপুর হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের। প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করার পর তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই ফোন ঘেঁটে পর্ষদ কর্তারা জানতে পেরেছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই সমাজমাধ্যমে গ্রুপ খুলে প্রশ্ন ফাঁসের চক্রান্ত করা হয়েছিল।




পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সমাজমাধ্যমের ওই গ্রুপটিতে মোট ১৬১ জন সদস্য রয়েছে। এনায়েতপুর হাই স্কুল থেকে যে ক’জন পরীক্ষার্থীকে ধরা হয়েছে প্রশ্ন ফাঁস করার জন্য, তাদেরই এক জন ওই গ্রুপের ‘অ্যাডমিন’। বাকি সদস্যদের পরিচয় কী, তারা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কি না, সে বিষয়ে পর্ষদের তরফে কিছু জানানো হয়নি।


তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘‘মালদহে পড়ুয়াদের কাছ থেকে যে সব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষা ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করার জন্য একটা চক্র কাজ করছে। পর্ষদকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এই কাজ। এর বলি হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।’’




মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন , ‘‘যারা এই কাজ করছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই করছে। শুধুমাত্র মালদহ জেলা থেকেই কেন এমনটা হচ্ছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। কিউআর কোড মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে মানে স্পষ্ট যে, সচেতন ভাবেই করছে। এটা স্বাভাবিক নয়। মনে হয়, বড় চক্রান্ত চলছে।’’