অবশেষে জট কাটল , কুনাল ঘোষের উপস্থিতিতে চাকরি পেল ২০০৯ এর ৩২৮ জন চাকরি প্রার্থী

Primary Recruitment


ডায়মন্ডহারবার:

নিজেদের হকের চাকরির দাবিতে ১৫ বছরের লড়াইয়ের অবসান হল ২০০৯ এর চাকরি প্রার্থীদের। ১৫ বছর পর অবশেষে নিয়োগ পত্র পেলেন ২০০৯ এর ৩২৮ জন চাকরি প্রার্থী । দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের সামনে ১৮৩৪ জনের প্যানেল প্রকাশের দাবিতে তারা আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছিলেন।আন্দোলন, ধর্নার মাঝেই এই নিয়োগ পত্র । 



বুধবার বাম আমলে ২০০৯ সালের নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদ। ইতিমধ্যেই এই জেলায় ১৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। বাকি ৩২৮ নিয়োগ হবে । 



তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, " শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়োগ নিয়ে বিরোধীরা কুৎসা আর অপপ্রচারের রাজনীতি করতে ব্যস্ত। অন্যদিকে তৃণমূল সরকার যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগ সংক্রান্ত জট কাটিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিতে চাইছে। রাজ্য সরকারের সদর্থক চিন্তাভাবনার আরও একবার বাস্তবায়ন হল মঙ্গলবার । এদিন থেকেই ৩২৮ জন প্যানেলিস্টের চাকরি চিঠি পোস্ট হওয়া শুরু হবে।" 



পাশাপাশি, তিনিও বলেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী আলোচনার মাধ্যমে এই নিয়োগ সংক্রান্ত জট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। তাই যাঁরা ধর্না দিচ্ছেন তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধও করেন কুণাল। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে চাকরি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। পর্ষদ সভাপতি অজিত কুমার নায়েক জানান সরকার বরাবরই সচেষ্ট ছিল চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে। ২০১৫ সালে ডিপার্টমেন্ট প্যানেল অ্যাপ্রুভ করে। এরপর চাকরিপ্রার্থীদের একটা বড় অংশ হাইকোর্টে মামলা করায় নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যায়। সরকারের সদিচ্ছার কোন অভাব ছিলনা বলেই ২০২১ সালে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পর ১৫০৬ জনকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়। ১৮৩৪ জনের মধ্যে এই ১৫০৬ জন চাকরি পাওয়ার পর যারা বাকি ছিলেন তাঁদের কনভার্টেড প্যানেল এবং অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ যুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হল । 



তিনি আরো বলেন ৫৭৬ নন জয়েনিং পোস্ট ছিল। তার ভিত্তিতেই ৩৬৪ জন নিয়োগপত্র পাচ্ছেন। এই দিন ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হয়ে পর্ষদ সভাপতি অজিত কুমার নায়েকের উপস্থিতিতে কুনাল ঘোষ আন্দোলনকারীদের অনশন প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করেন এবং নিজে হাতে আন্দোলনকারীদের ফলে জুস খাইয়ে অনশন ভাঙায়।