কুঁড়ি বিঘা জমির গাঁজা ধ্বংস করলো সাহেবগঞ্জ পুলিশ ও আবগারি
অবৈধ গাজা চাষের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কুড়ি বিঘা গাঁজা গাছ ধ্বংস করলো সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ এবং আবগারি দপ্তর। শনিবার দিনহাটা 2 নম্বর ব্লকের নাজিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ ও আবগারি দপ্তর। তারা জমি থেকে গাঁজা গাছগুলি কেটে সেগুলি পুড়িয়ে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দিনহাটা 2 নম্বর ব্লকের নাজিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের শৌলমারী, শিকারপুর, কুমারগঞ্জ, গাউচুল্কা প্রভৃতি এলাকায় বিঘের পর বিঘে জমির গাঁজা চাষের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ ও আবগারি দপ্তরের কর্মীরা। তারা একের পর এক গাঁজা গাছ কেটে জড়ো করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এদিন প্রায় কুড়ি বিঘে জমির গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনহাটার বিভিন্ন এলাকা নাজিরহাট, শালমারা, বুড়িরহাট, সাহেবগঞ্জ, চৌধুরীহাট, গীতালদহ, শৌলমারি, গোসানিমারি ছাড়াও সিতাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে এই অবৈধ গাঁজা চাষের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে এই গাঁজা চাষ আইনগতভাবে যে অবৈধ তা ঘোষণা সত্ত্বেও বছরের পর বছর এই গাঁজা চাষ বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবছর এই গাঁজা চাষের ফসল ওঠার মরসুমে পুলিশ এবং আবগারি দফতরের তরফ থেকে বিভিন্ন এলাকায় এই অবৈধ গাঁজা চাষের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। তা সত্ত্বেও এই গাঁজা চাষ বন্ধ হচ্ছে না। দিনহাটা 2 নম্বর ব্লকের নাজিরহাট এলাকায় অবৈধ গাঁজা চাষের খবর আগেই পুলিশ জানতে পেরেছিল। এদিন সেই গাঁজা চাষের বিরুদ্ধে অভিযান চালালো সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ এবং আবগারি দপ্তর। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এভাবে গাঁজা চাষ ধ্বংস করে গাঁজা চাষ বন্ধ করা যাবে কি, এই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊