আংটি, মাদুলি, পৈতে সহ ৬-৭ টি ব্যাক্তিগত জিনিস পেতে মরিয়া মানিক ভট্টাচার্য

Manik Bhattacharya


নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা:

আংটি, মাদুলি, পৈতে সহ ৬-৭ টি ব্যাক্তিগত জিনিস পেতে মরিয়া মানিক ভট্টাচার্য। ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়োগ দুর্নীতির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল আজ। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা হয়েছে আজ স্বশরীরে। সেই শুনানি চলাকালীনই আংটি, মাদুলি, পৈতে সহ ৬-৭ টি নিজস্ব ব্যাক্তিগত জিনিস ফিরে পেতে মরিয়া মানিক ভট্টাচার্য।


মানিক বলে বিচারককে - ১০ ই অক্টোবর অর্থাৎ প্রায় ১ বছর আগে তাঁকে যখন গ্রেফতার করা হয় সেই সময় তিনি ইডির অফিসেই ছিলেন এবং সেই সময় তাঁর কিছু ব্যক্তিগত জিনিস যার মধ্যে আংটি, মাদুলি, পৈতে এরকম ৬-৭ টি জিনিস গভীর রাতে (রাত ১২ টায়) ইডি অফিসার মিথিলেশ মিশ্র, বিজয় কুমার এবং সুরেন্দ্র কুমার তাঁরা মানিকের কাছ থেকে সেই জিনিস গুলো নিয়ে নিয়েছিল, ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সময়। এবং পরবর্তী সময়ে তাঁকে সেই জিনিস গুলো ফেরত দেওয়া হবে বলা গিয়েছিল কিন্তু সেই জিনিসগুলো মানিককে ফেরত দেওয়া হয়নি। এবং এর সঙ্গে মানিকের এও অভিযোগ এই জিনিস গুলো সিজার লিস্টে সিজার বলে দেখানো হয়নি এবং তাঁর কাছ থেকে এই জিনিস গুলো যে নেওয়া হয়েছে তার বেসিসে কোনো ডকুমেন্টসও দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি এর আগেও একাধিকবার যখন তিনি আদালতে এসেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিক থেকে শুরু করে পিপিকে (সরকারি আইনজীবীকে) তিনি জানিয়েছিলেন কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। ফলে আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতের মাননীয় বিচারকের কাছে তিনি আবেদন করেন সেই সমস্ত ব্যাক্তিগত জিনিস গুলো ফেরত পান।



বিচারক বলেন মানিক ভট্টাচার্যকে - কিন্তু বিচারকের যেটা বক্তব্য ছিল নির্দিষ্ট জায়গায় ফের আবেদন করার। মানিক ভট্টাচার্য এরপরের বক্তব্য ছিল - এই তিনজন ইডি অফিসারের মধ্যে একজন ইডি অফিসার বদলি হয়ে গেছেন বাকিরাও যদি বদলি হয়ে যান তার ব্যক্তিগত জিনিস পাওয়াটা অসুবিধা হবে এবং যেহেতু এই জিনিসগুলোতো ভট্টাচার্যের।